Aamir Khan

Aamir Khan: ৬ টাকা মাইনেও দিতে পারতেন না, সবার সামনে আমিরকে অপমান করতেন অধ্যক্ষ!

সাফল্যের চূড়ায় এসে অতীত থেকে আজও শিক্ষা নেন আমির। অভাব-অনটনের দিনগুলো ভুলতে পারেনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ১৫:০৮
 আজ তিনি আমির!

আজ তিনি আমির!

বাবা-মা ঋণে জর্জরিত। চার ভাইবোনে স্কুলের মাইনে দিতে পারছিলেন না। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমির খান। যিনি এখন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। ছোটবেলাটা অভাব অনটনেই কেটেছে নায়কের। ভোলেননি সে সব কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিরে দেখলেন নিজের শিকড়। জানালেন, স্কুলে যেতেই ভয় লাগত। অধ্যক্ষ সবার মাঝখানে নাম ধরে ডেকে মনে করিয়ে দিতেন কত মাসের স্কুল ফি বাকি!

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে সেই অর্থ সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু তখন সেটুকু জোগাড় করতেই কালঘাম ছুটেছিল চলচ্চিত্র প্রযোজক তাহির হুসেন এবং তাঁর স্ত্রী জিনাত হুসেনের। তাঁদেরই ছেলে আমির জানান, ৮ বছর ধরে পারিবারিক দৈন্যের মুখোমুখি হয়েছেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন যখন, মাইনে ছিল ৬টাকা। সপ্তম শ্রেণিতে ৭টাকা। সেটুকুও আমির ও তাঁর ভাইবোনেরা দিতে পারতেন না। বললেন, ‘‘আমরা সব সময় দেরিতে মাইনে দিতাম। সবার সামনে নাম ধরে ধরে ডাকা হত আমাদের’’— বলতে বলতে চোখ ভিজে যায় আমিরের।

Advertisement

‘ইয়াদোঁ কি বরাত’ (১৯৭৩) ছবিতে শিশু অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আমির। যৌবন পার হতে নায়ক হিসাবে, জুহি চাওলার বিপরীতে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ (১৯৮৮)-এ সাড়া ফেলেছিলেন। তার পর একে একে সফল ছবির বন্যা।

‘রাখ’ (১৯৮৯), ‘দিল’ (১৯৯০), ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ (১৯৯৬), ‘সরফরোশ’ (১৯৯৯), ‘লগান’ (২০০১), ‘রং দে বাসন্তী’ (২০০৬), ‘তারে জমিন পর’ (২০০৭) থেকে শুরু করে ‘দঙ্গল’ (২০১৬) হয়ে বর্তমানে ‘লাল সিং চড্ডা’-য় পৌঁছে গিয়েছেন আমির। দীর্ঘ যাত্রাপথে ভক্তের হৃদয়ে তিনি পাকাপাকি আসন জিতে নিয়েছেন। তবু অতীতকে অস্বীকার করেননি, শিক্ষা নিয়েছেন প্রতিনিয়ত। তাই তিনি মনেপ্রাণে আমির!

আরও পড়ুন
Advertisement