‘লগান’ ছবির সেটে কী কী করতেন তারকারা? ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ছবির কোনও তালিকা তৈরি হলে ‘লগান’ ব্যতীত তা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। আমির খান অভিনীত এবং আশুতোষ গোয়াড়িকর পরিচালিত এই ছবি বিশ্ব মানচিত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিল। ‘লগান’ ছবির প্রতিটি চরিত্রই এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। দেশে-বিদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে তৈরি এই ছবি নির্মাণে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। তবু প্রযোজক হিসাবে কার্পণ্য করেননি আমির।
ছবির একটা বড় অংশের শুটিং হয়েছে গুজরাতের ভুজ অঞ্চলে। মাসের পর মাস ধরে শুটিং চলে। সেখানে কোনও হোটেল নয়, একেবারে অস্থায়ী ভাবে তারকাদের থাকার জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। দেশে-বিদেশের নানা রকমের খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ‘লগান’ ছবিতে আমিরের সহ-অভিনেতা অখিলেন্দ্র মিশ্র জানান, ছবির শুটিং চলাকালীন তাঁরা কেনা জল তো খেতেনই, এমনকি স্নানও করতেন কেনা জলে।
তাঁর কথায়, ‘‘সেটে সব ধরনের খাবার ছিল। বিদেশি অভিনেতাদের জন্য মহাদেশীয় খাবারের বন্দোবস্ত ছিল। তাঁরা ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করতেন। ব্যবস্থাপনা অসাধারণ ছিল। এ সব ছাড়া ছবিটি সফল হত না। আপনার পছন্দের যে কোনও খাবার, পছন্দের যে কোনও জুস, আপনি শুধু নাম বলুন, আপনার কাছে সব হাজির হয়ে যাবে। ঘুম থেকে ওঠার পর বাসে করে শুটিংস্থলে পৌঁছোতেই প্রাতরাশের ব্যবস্থা। যে যত পারো খাও, কেউ কিছু বলার নেই।” আরও একটি দিকে প্রযোজকদের কড়া নজর ছিল। সেটি ছিল পানীয় জলের বিষয়ে। অখিলেন্দ্র জানান, স্থানীয় জল খাওয়া একেবারে নিষেধ ছিল তাঁদের। যাতে কেউ জলবাহিত কোনও রোগ দ্বারা সংক্রামিত না হন। সকলে স্নানও করতেন কেনা জলে, এমনই এলাহি আয়োজন।
তবে সব কিছুর মধ্যে যাঁর ব্যবহার সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায় তিনি আমির খান। অখিলেন্দ্রের কথায়, ‘‘অত বড় তারকা আমাদের সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েছেন। সারা ক্ষণ আমাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা দিতেন।’’