এ আর রহমান। ছবি-সংগৃহীত।
তিন যুগ ধরে শ্রোতাদের অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন সুরকার এআর রহমান। আর তার মধ্যে বহু গানের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে অস্কার, গ্র্যামির মতো সম্মানও রয়েছে। এই অসংখ্য পুরস্কার, স্মারক কোথায় রাখেন রহমান? সুরকার নিজেই জানিয়েছিলেন অবাক করা কথা।
এ আর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলিকে তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রাখতেন তাঁর মা। এই পুরস্কারগুলি নাকি সোনা দিয়ে তৈরি। এমনই বিশ্বাস করতেন এআর রহমানের মা। এক সাক্ষাৎকারে সুরকার জানিয়েছিলেন, ভারতে যে পুরস্কারগুলি তিনি পেয়েছেন, সেগুলি চেন্নাইয়ের বাড়িতে রাখা। সেই বাড়িতে একটি ঘর রয়েছে, যেখানে শুধুই এই পুরস্কারগুলিই থাকে।
এর পরেই তিনি বিদেশ থেকে প্রাপ্ত পুরস্কারগুলির কথা বলেন। দুবাইয়ের বাড়িতে তোয়ালে দিয়ে সেই পুরস্কার মুড়ে রাখতেন এআর রহমানের মা করিমা বেগম। মায়ের এই বিশ্বাসের জন্যই দুবাইয়ের বাড়িতে রাখা থাকত এই পুরস্কারগুলি। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পরে সেগুলি আর নেই দুবাইয়ের বাড়িতে। রহমান জানান, করিমা বেগমের মৃত্যুর পরে সেই ঘরে যান তিনি। পুরস্কারগুলি বার করে এনে দুবাইয়ের ফিরদৌস স্টুডিয়োয় দিয়ে দেন। এখন ফিরদৌস স্টুডিয়োতেই সেগুলি সাজিয়ে রাখা আছে।
ড্যানি বয়েলের ছবি ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়র’-এর ‘জয় হো’ গানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হন তিনি। এই গানটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক ইমতিয়াজ় আলি জানিয়েছেন, ‘রকস্টার’ ছবিতে প্রথম দিকে কাজ করতে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না এআর রহমান। কিন্তু ‘নাদান পরিন্দে’ গানের কথা অনুবাদ করে বোঝানোর পরেই এই ছবির কাজকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেন তিনি। এই ছবির গানও যে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল, তা বলাই বাহুল্য।