মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসাবে বুধবার হলদিয়ায় মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণণূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দেওয়া হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ এক লক্ষের কম। তাঁর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি বা বাড়ি নেই। নেই কোনও গাড়িও।
হলফনামা বলছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে মমতার বার্ষিক আয় ছিল ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২০ লক্ষ ৭১ হাজার ১০ টাকা। তারও আগের তিনটি আর্থিক বছরের আয়ের হিসাবও দেওয়া রয়েছে ওই হলফনামায়। তবে তার মধ্যে সর্বোচ্চ আয় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই।
মমতার হাতে নগদ রয়েছে ৬৯ হাজার ২৫৫ টাকা। কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট ধরে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৫২ টাকা ৭১ পয়সা। ওই অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যেই রয়েছে কিছু অলঙ্কার, যার পরিমাণ ৯ গ্রাম ৭৫০ মিলিগ্রাম। তাঁর নামে কোনও গাড়িও নেই। নেই চাষযোগ্য জমি অথবা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য কোনও স্থান। পৈতৃক সূত্রে তিনি কোনও সম্পত্তির অধিকারীও নন। ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে তাঁর ঋণের বোঝাও নেই।
আয়কর, পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি), পুরসভার সম্পত্তি কর বাবদ কোনও বকেয়াও নেই তাঁর। তাঁর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তিও নেই। পাশাপাশি নেই কোনও স্বোপার্জিত সম্পত্তিও। হলফনামায় বলা হয়েছে, ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজ থেকে আইনে স্নাতক হন তিনি। তার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান।
হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফের নন্দীগ্রামে ফেরেন মমতা। নন্দীগ্রামে রাত কাটানোর কথা ছিল তাঁর। বিকেলে রানিচকের গিরির বাজার এলাকায় একটি মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকে বেরনোর সময়ই পড়ে যান তিনি। মমতার দাবি, তাঁকে চার পাঁচ-জন ধাক্কা মারে। যে ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে।