(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নওশাদ সিদ্দিকি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র। —ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি প্রার্থী হবেন নওশাদ সিদ্দিকি, এখনও তা স্পষ্ট হল না। আগে নওশাদ জানিয়েছিলেন, সোমবার বিষয়টি জানা যাবে। কিন্তু সোমবারও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারল না ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। রাতে আনন্দবাজার অনলাইনকে আইএসএফ নেতা নওশাদ জানিয়েছেন, পুরোটা স্পষ্ট হতে আরও দু’এক দিন সময় লাগবে।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ নওশাদকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হয় আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে। তিনি প্রথমে ফোন ধরেননি। এর পর তাঁর দলের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা এখন বৈঠকে বসছি। রাতের মধ্যেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” রাত ১১টায় তাঁকে আবার ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে চাননি। নওশাদ বা দলের অন্যান্য নেতার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এর পর আবার নওশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন তিনি বলেন, “গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হতে আরও দু’এক দিন সময় লাগবে।” তবে আইএসএফ সূত্রে খবর, বৈঠকে দলের অধিকাংশ নেতাই নওশাদকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে লড়াই করার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, নওশাদ ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়াই করলে অন্যান্য কেন্দ্রে আইএসএফের প্রচার ধাক্কা খাবে।
গত কয়েক মাস ধরেই নওশাদ বলে আসছিলেন, দল অনুমতি দিলেই তিনি প্রার্থী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বিরুদ্ধে। এমনকি, নওশাদের দাদা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও ধর্মীয় সভা থেকে বলেছিলেন, “আমরা ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেব।” তবে এর পর আব্বাসকে প্রকাশ্যে এ বিষয়ে আর মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ প্রার্থী হলে তাদের আপত্তি নেই বলে আগেই জানিয়েছে সিপিএম। জোটের স্বার্থে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানায়নি কংগ্রেস।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় তাঁর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে নওশাদ জানিয়েছিলেন, তিনি ১০০ শতাংশ প্রস্তুত। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সোমবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি আইএসএফ। অর্থাৎ, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক-নওশাদ সম্মুখসমর হবে কি না তা জানতে অপেক্ষা করতে আরও কয়েক দিন।