অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফেসবুক।
হুগলি লোকসভায় গত ভোটে পদ্ম ফুটেছিল। জিতেছিলেন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারে এ বার লকেটের বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়তে পাঠিয়েছে আর এক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সেই হুগলির সাংগঠনিক বৈঠকের পর তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, জেলার তিনটি লোকসভার মধ্যে হুগলি লোকসভায় তৃণমূল জিতবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে। হুগলিতে আরও যে দু’টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে সেগুলি হল শ্রীরামপুর এবং আরামবাগ।
সিঙ্গুরের একটি রিসর্টে হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে প্রার্থী রচনা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, অসীমা পাত্র, শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন-সহ বিধায়কেরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে। আমাদের কিছু সাংগঠনিক সমস্যা ছিল। সে সব নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে সব কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলব না।’’
একই সঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘জেলায় লোকসভা আসনগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে তৃণমূল হুগলি লোকসভা আসন জিতবে।’’ পাশাপাশিই নাম না করে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী লকেটকেও। তিনি বলেন, ‘‘যিনি পাঁচ বছর আগে জিতেছিলেন, তাঁকে বলব ‘প্রাক্তন সাংসদ’-এর লেটারহেড এখন থেকেই যেন ছাপিয়ে রাখেন।’’
লোকসভা ভোটে বিজেপি হুগলিতে যে ফল করেছিল, ২০২১ সালের বিধানসভায় তা ধাক্কা খায়। ২০২১ সালের ভোটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভাতেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। লকেট চুঁচুড়া কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাস্ত হয়েছিলেন। যদিও তার পরে ঘটনার ঘনঘটা চলেছে। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দল বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষও বলাগড়েরই নেতা ছিলেন। মঙ্গলবার অভিষেক দাবি করেছেন, সাংগঠনিক সমস্যা যা ছিল তা মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। সিঙ্গুরের বৈঠকে ছিলেন ‘বিতর্কিত’ বিধায়ক মনোরঞ্জনও।