Lok Sabha Election 2024

পান্ডুয়ায় দলের কোন্দল মেটাতে তৎপর তৃণমূল

সমস্যার সমাধানে বুধবার সন্ধ্যায় ব্লকের নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পান্ডুয়া ব্লকে দলের কোন্দল মেটাতে তৎপর হলেন হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ব্লকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হল স্থানীয় বিধায়ক তথা দলের প্রবীণ নেত্রী রত্না দে নাগকে মাথায় রেখে।

Advertisement

রবিবার পান্ডুয়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কর্মিসভায় দলের দুই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় ঘোষ-সহ অনেকেই গরহাজির ছিলেন। তাঁরা উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তাঁদের ডাকাই হয়নি। যদিও ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম এবং বিধায়ক দাবি করেছিলেন, সবাইকেই ডাকা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে বিভেদ কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়।

সমস্যার সমাধানে বুধবার সন্ধ্যায় ব্লকের নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। মন্ত্রী বেচারাম মান্না, দলের জেলা চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্রও বৈঠকে ছিলেন। রত্না, আনিসুল, অসিত, সঞ্জয়দের পাশাপাশি পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি চম্পা হাজরা-সহ ব্লকের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

অরিন্দম জানান, ওই বৈঠকেই ব্লকের নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১১ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারপার্সন রত্না। অরিন্দম বলেন, ‘‘সবাই একসঙ্গে মিলে আমাদের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন করতে হবে।’’ অসিত এবং সঞ্জয় বলেন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি আমাদের ডেকেছিলেন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনার জন্য। সুষ্ঠু আলোচনা হয়েছে। সবাই মিলে এক সঙ্গে পরিকল্পনা করে নির্বাচনে লড়ব।’’ রত্না বা আনিসুলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁরা ফোন ধরেননি।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন সঞ্জয়। তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে দলের নানা স্তরে। ওই নির্বাচনে দলীয় টিকিট বণ্টনেও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে অনেক নেতা কার্যত ‘বসে’ গিয়েছিলেন। ভোটে শাসকদলের ফল আশানুরূপ হয়নি। সঞ্জয় নিজেও হেরে যান পঞ্চায়েত সমিতিতে। এর পরেই তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন দলের নেতৃত্ব।

গত লোকসভা নির্বাচনে রত্নার মতো ওজনদার প্রার্থী হেরে যান। সেই ভোটে পান্ডুয়া ব্লকে পিছিয়ে
ছিল তৃণমূল। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই তিনি এখানে পিছিয়ে পড়েছিলেন বলে তৃণমূলের একাংশের ধারণা। পাঁচ বছর পরে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দলের নেতারা কতটা ঐক্যবদ্ধ হন
এবং আখেরে ভোটের ফল কী হয়, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন
Advertisement