রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পরিবারে যেমন বিভিন্ন সমস্যা থাকে, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়, বৌদি-ননদের মনোমালিন্য হয়, দলও তেমনই। বলাগড়ে ভোটপ্রচারে এসে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের এমনই ব্যাখ্যা দিলেন হুগলির প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক মাসে হুগলিতে বিজেপির অন্দরে যেমন নানা সময়ে বেসুর শোনা গিয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুগিয়েছে তৃণমূলকেও। বিশেষত বলাগড় বিধানসভা। সেখানে বার বার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এ সম্পর্কে সচেতন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা? গোষ্ঠীকোন্দল কি প্রার্থী হিসাবে চাপে রাখবে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনাকে? তৃণমূল প্রার্থীর ব্যাখ্যা, সমস্যা আছে এবং থাকবে। তৃণমূলেও আছে। কিন্তু শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কোন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই? সব জায়গায় কিছু না কিছু সমস্যা আছে। পরিবারের মধ্যেও কত সমস্যা থাকে! স্বামী-স্ত্রীতে সমস্যা, ননদ-বৌদিতে সমস্যা... সমস্যা সব জায়গায় থাকে।’’ রচনার সংযোজন, ‘‘এত বড় একটা দল (তৃণমূল)। হাতের পাঁচটা আঙুল তো সমান হয় না। প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা আলাদা। তবে সেই আঙুলগুলো এক হলে একটা মুঠি তৈরি হয়। আর সেটা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতের চেটোটা হল তৃণমূল কংগ্রেস।’’
রচনার পর বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জনও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘দ্বন্দ্ব থাকবে। সব দলেই আছে। আমাদের দলেও আছে। তবে আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে পরাস্ত করা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা এক হয়ে লড়াই করব। যদি কিছু ঝগড়াঝাঁটি থাকে তা মিটিয়ে নেব।’’
হুগলির দই আর ঘুগনি খেয়ে চমৎকৃত হয়েছিলেন রচনা। তবে বলাগড়ে এসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কী ভাবে বেড়েছে তার হিসাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বলাগড় বিধানসভার চন্দ্রহাটিতে ভোট প্রচারে যান হুগলির তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘শুধু ওষুধ নয়, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। আগে ৫০০ টাকায় ঝোলাভর্তি বাজার করা যেত। এখন একটা ছোট প্যাকেটে হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবন চালানোই সমস্যা হয়ে গিয়েছে। কত কিছুর দাম বাড়ছে! এর পর আরও কত বাড়বে!’’ বাজার দর সম্বন্ধে তিনি যে ওয়াকিবহাল তা নিয়ে অভিনেত্রী রচনা বলেন, ‘‘আগে ডালের দাম ছিল (কেজি প্রতি) ৪০ টাকা। এখন ১৩০ টাকা। আদার দাম ছিল ৫০ টাকা। এখন ১৫০ টাকা। পেট্রল আগে বিক্রি হত ৭০ টাকায় এখন ১২০ টাকা। কেরোসিন ৪০ টাকা ছিল এখন ১০০ টাকা।’’