রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরোনোর আগে নিজের হাতে মাছ আর সব্জি কিনলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে বাজারেই জনসংযোগ করে ব্যাগভর্তি মাছ আর নানা রকম সব্জি কিনে রচনা বললেন, ‘‘বাজার করতে ভালবাসি। কিন্তু রান্নাটা মাসিই করেন।’’ বলেই ভাইরাল হওয়া সেই হাসি হাসলেন। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী বললেন, ‘‘বাজার করতে ভীষণ ভালবাসি। ব্যস্ত না-থাকলে বাজারটা নিজেই করি।’’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে চুঁচুড়া কাঠগোলায় বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। তার পর সোজা চলে যান মল্লিক কাশেম হাটে। সেখানে খানিক জনসংযোগ করেন। তার পর নিজের হাতে বাজার করেন। বাজার থেকে আলু, পেঁয়াজ, আদা ছাড়াও কয়েক রকম সব্জি কেনেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। অভিনেত্রী-তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে ভিড় জমে যায় বাজারে। তার মধ্যেই বাজার সারেন রচনা। বেছে বেছে মাছ কেনেন। ঘুরে ঘুরে দেখেন গোটা বাজার। সব্জির দোকানে আম কিনতে গিয়েছিলেন। দোকানদার তারকা প্রার্থীকে দেখে বেশি করে আম দিতে যেতেই চেঁচিয়ে ওঠেন রচনা। বলেন, ‘‘আর না, আর না।’’ দোকানদার অবশ্য হাসতে হাসতে ব্যাগে কয়েকটা আম বেশিই ভরে দিয়েছেন। হাসিমুখে বলেন, ‘‘আবার আসবেন।’’ রচনাও মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলেন।
বাজার শেষে রচনা বলেন, ‘‘চিংড়ি মাছ আমার প্রিয়। তাই চিংড়ি কিনেছি। কাতলা আর মৌরলা মাছও কিনেছি।’’ রচনা অবশ্য সব পদ রান্না করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘কাজের মাসি রান্না করে দেন। তবে পটল আর ঢেঁড়স আমার প্রিয়। সব ধরনের সব্জি খাই। সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষও খাই। কিন্তু মাছ ছাড়া চলে না।’’ বুধবার রচনার জনসংযোগ প্রচারে চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলররা ছিলেন। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনাকে দেখে ছবি তোলার জন্য ভিড় জমে যায় এলাকায়।