তৃণমূল প্রার্থী দেব। —ফাইল চিত্র।
চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেব। তাঁর আশঙ্কা, ১০ থেকে ২০ মে-র মধ্যে কেশপুরে খুন হতে পারেন এক বিজেপি কর্মী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাঁদের দলের ষড়যন্ত্রে ওই খুন হতে পারে এবং সেই খুনের দায় চাপানো হতে পারে তৃণমূলের উপরে।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবের আশঙ্কা আগামী ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে খুন হতে পারে কেশপুরে। একটা ষড়যন্ত্র করে বিজেপি প্রার্থী ও বিজেপি দল তাদের দলীয় কর্মীকে খুন করে তৃণমূলের উপর দোষ চাপিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করবে। কেশপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার দেব দাবি করেন, ‘‘বিজেপির যে প্রার্থী (হিরণ) এবং বিজেপি দল যে ভাবে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জেতার জন্য পড়ে রয়েছে, আমাদের কাছে খবর রয়েছে, কেশপুরে তারা কোনও একটা ষড়যন্ত্র করেছে। নিজেদের লোককে মেরে তার দোষ আমাদের লোককে দিয়ে একটা অশান্তি সৃষ্টি করে ভোট করানোর চেষ্টা করবে।’’
দেবের দাবি, ঘাটালে ভোটে জিততে এমনই রাস্তা নিয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘‘বড় ষড়যন্ত্র করার প্ল্যান চলছে বিজেপি প্রার্থী ও তাদের দলের।’’ এর পর সবাইকে সাবধান করার স্বরে দেব বলেন, ‘‘আমি আগে থেকে বলে রাখছি, এ রকম একটা ঘটনা কেশপুরে ঘটতে চলেছে। আমি কেশপুরে ১০ বছর ধরে শান্তি রেখেছি। শান্তি রাখার চেষ্টা করেছি। জেতার জন্য বিজেপি প্রার্থী এবং তার দল যে ভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, যে ভাবে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে, সে কথা আমি আগাম জানিয়ে রাখলাম সংবাদমাধ্যমে, প্রশাসনের কাছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে।’’
দেব বলেন, ‘‘হিরণ পাগল হয়ে গিয়েছে। যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। এই সব না বললে তো হেডলাইনে (খবরে) আসবে না। হিরণ তো নিজের একটা কাজের কথাও তো বলছে না! ওর দল ১০ বছরে কী করেছে, ও নিজে কী করেছে....?’’ বিজেপি প্রার্থী হিরণ তিন বছর ধরে খড়্গপুরের বিধায়ক। কাউন্সিলরও। দেব বলেন, ‘‘এখন ও সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন দেখা ভাল, আমি বলব না যে, ও ভুল স্বপ্ন দেখছে। মানুষের স্বপ্ন দেখার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য রাতে যা ভাববে, সকালে যা পারবে বলবে, তোমরা সেটাকে হেডলাইন করবে। এখনও তো একটাও কিছু প্রমাণ দিতে পারল না (আমার সম্পর্কে)।’’ বস্তুত, প্রার্থী হওয়ার অনেক আগে থেকেই গরু পাচার কাণ্ডে দেবকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে আসছেন হিরণ। দেব বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে এত কিছু বলে যাচ্ছে ও। খবর হচ্ছে বলে ও সাহসটা পাচ্ছে। আসলে মানুষ ওর সঙ্গে নেই।’’ একটু থেমে দেব বলেন, ‘‘মানুষ কেন, ওর নিজের দলই ওর সঙ্গে নেই। যে কথাগুলো ও বলছে, তার একটাও তার দলের কোনও নেতা বলছে না।’’ দেবের সংযোজন, ‘‘জেতার জন্য মরিয়া হয়ে যা পারছে বলছে। ওকে আমার শুভেচ্ছা রইল।’’
দেবের ওই মন্তব্য এবং অভিযোগ নিয়ে হিরণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি পিংলার একটি জনসভায় ব্যস্ত রয়েছেন, তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।