Lok Sabha Election 2024

রাম কবে বিজেপির হল? প্রশ্ন রচনার, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’, রামনবমীতে মমতার কথা লকেটের মুখে

বুধবার সকাল থেকে চন্দননগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার সারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোও দেন হনুমান মন্দিরে। প্রার্থীর দাবি, প্রাচীনকাল থেকেই রামের পুজো হয়ে আসছে। তাতে বিজেপির কোনও হাত নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৮
(বাঁ দিকে) তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

রামনবমীর দিন প্রচার তথা জনসংযোগ সারলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন চন্দননগরে প্রচার সারেন তারকা। পুজোও দেন। আর পুজো দিয়ে বেরিয়ে রচনার প্রশ্ন, রাম কবে বিজেপির হল? অন্য দিকে, রামনবমীর দিন মমতার সুরেই লকেটও বলে উঠলেন, ‘‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’’

Advertisement

চন্দননগরের সাহেববাগান এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে খ্যাপা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বুধবারের প্রচার আরম্ভ করেন রচনা। সেখান থেকে ১৯, ২০, ২১ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ সারেন। প্রবল গরমের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় চলে তারকা রচনার প্রচার। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, ‘‘সব মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পুজো দিচ্ছি। বহু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’ এর পরেই রচনার প্রশ্ন, ‘‘রাম তো সকলের। রাম বিজেপির কবে থেকে হল? আমরা সব ঠাকুরকেই পুজো করি। লক্ষ লক্ষ ভগবান ভারতে। রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমানজিরও পুজো করি রোজ। যেখানেই রামের পুজো হচ্ছে খবর পেয়েছি, আমি সেখানে গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে এসেছি।’’

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলে থাকেন। রামনবমীর পুজো দিতে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও সেই কথাই বললেন। চুঁচুড়া কাপাসডাঙায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ রামনবমী উপলক্ষে রামের পুজো করে। বুধবার তাতে যোগ দেন হুগলির বিদায়ী সাংসদ। লকেট বলেন, ‘‘রামনবমীর উৎসবে এ বার আবেগ অনেক বেশি। কারণ, পাঁচশো বছর পর অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু উনি দাঙ্গার দিন বলে রামকে অপমান করেছেন। আমার মনে হয়, উনি যেটা বলেছেন, সেটা ওঁর প্রত্যাহার করা উচিত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বার বার এই দিনটিকে টার্গেট করছেন। বিভেদ সৃষ্টি করে ভোটের ফয়দা তুলতে চাইছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করবেন।’’ রিষড়া-সহ হুগলির যে সব জায়গায় আড়ম্বর সহকারে রামনবমী পালিত হয়, সেখানে উৎসাহের সঙ্গে উৎসব পালন করার কথাও বলেন। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, পুলিশ-প্রশাসন তাদের কাজ করবে। তবে শর্ত দিয়ে মানুষকে আটকানো যায় না, দাবি লকেটের।

আরও পড়ুন
Advertisement