শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
ভোটের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে সক্রিয় এ বার এনআইএ-ও। গত শুক্রবার ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলার তদন্তে কাঁথি ৩ ব্লকে গিয়েছিল সিবিআই। এর পর শনিবার দুপুর নাগাদ এনআইএ-র আধিকারিকেরা গেলেন ময়নার বাকচায়। নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের তদন্তে। তবে এই ঘটনায় জড়িত কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তাঁদের বাড়িতে যাননি তদন্তকারীরা। পরিবর্তে মৃত বিজয়কৃষ্ণের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে ফিরে যান তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ময়নার বাকচায় হাজির হন এনআইএ-র চার আধিকারিক। যে জায়গা থেকে বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যেখান থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই জায়গা পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী ও ছেলে। এনআইএ আধিকারিকেরা তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর পর বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।
বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইয়া বলেন, ‘‘এনআইএ তদন্তে এসেছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। দোষীদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, সেই আবেদন জানিয়েছি। তবে এনআইএ তাঁদের মতো তদন্ত করছে। আমাদের থেকে বিশেষ কিছু জানতে চাননি তাঁরা।’’ বিজয়কৃষ্ণের বড় ছেলে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমরা এনআইএ তদন্ত দাবি করেছিলাম। সেই মতোই আজ তদন্তকারীরা ঘটনার তদন্তে এসেছেন। এর জন্য আমরা অত্যন্ত খুশি। ওঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি।’’
গত বছরের ১ মে বিকেল নাগাদ স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকে বিজয়কৃষ্ণকে মারতে মারতে একদল দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে বিজয়কৃষ্ণের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতার নামে মামলা করে বিজয়কৃষ্ণের পরিবার। শেষমেশ পরিবারের দাবি মেনে বিজেপি নেতার মৃত্যুরহস্যের তদন্তে নামে এনআইএ।