(বাঁ দিকে) মহুয়া মৈত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক কাজ সামলালেও প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি। অবশেষে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী কেন্দ্র কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভার প্রচার শুরু করতে চলেছেন দিদি। আগামী ৩১ মার্চ ধুবুলিয়ায় সভা করতে পারেন মমতা।
গত ১৪ মার্চ কালীঘাটের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। সে দিনই লোকসভার প্রচার শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে অভিষেক উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে পাঁচটি জনসভা করে ফেলেছেন। কিন্তু মমতা প্রচার শুরু করতে পারেননি। নেত্রীর কপালের আঘাত নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চোট সারিয়ে ভোটের মাঠে নামছেন তিনি।
কৃষ্ণনগরে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। যদিও তখনও তৃণমূল, বিজেপি কেউই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে তৃণমূলের প্রার্থী যে ফের মহুয়া হচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও রহস্য ছিল না। কারণ, সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ তোলার যে অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছিল, সেই সময়েই মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। গত নভেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘এদের (বিজেপি) কী বুদ্ধি! মহুয়াকে ভোটের তিন মাস আগে তাড়াচ্ছে। আরে ও তো আবার ভোটে জিতবে।’’ সে দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কৃষ্ণনগরে প্রার্থী হচ্ছেন মহুয়াই। ইতিমধ্যে বিজেপিও কৃষ্ণনগরের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ‘রানি’ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির।
প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। ওই দিন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ভোট রয়েছে। কৃষ্ণনগরের ভোট চতুর্থ দফায়, ১৩ মে। ফলে মমতার প্রচার শুরুর জন্য কৃষ্ণনগরকে বেছে নেওয়াকে রাজনৈতিক ভাবে অর্থবহ বলে মনে করছেন অনেকে। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মতুয়া ভোট রয়েছে। বিজেপির দিকে ঢলে থাকা সেই ভোটকে নিজেদের বাক্সে ফেরাতে মমতা কী বার্তা দেবেন কৃষ্ণনগর থেকে, সে দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।