Lok Sabha Election 2024

চা শিল্প প্রসঙ্গে ‘ঠেস’ মমতার

শ্রমিকদের দাবি ছিল, তাঁরা যেখানে বসবাস করেন, সেই শ্রমিক লাইনে পাট্টা দিতে হবে। প্রশাসন সমীক্ষাও করে। কিন্তু তা নিয়ে মালিক সংগঠনের তরফে আপত্তি তোলা হয়।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৪৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

চা শ্রমিকেরা বাগানের যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই জমির পাট্টা পাবেন, লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের চা-জমি নীতি। চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার ঘোষণা, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও তা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি-অনিশ্চয়তা ছিল। রাজ্যের তরফে নির্দেশিকায় চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিতে পাট্টার কথা বলা হয়, পরে, অব্যবহৃত জমির কথাও বলা হয়।

Advertisement

শ্রমিকদের দাবি ছিল, তাঁরা যেখানে বসবাস করেন, সেই শ্রমিক লাইনে পাট্টা দিতে হবে। প্রশাসন সমীক্ষাও করে। কিন্তু তা নিয়ে মালিক সংগঠনের তরফে আপত্তি তোলা হয়। যে জমি বাগান কর্তৃপক্ষের লিজ়ে রয়েছে তাতে কী করে পাট্টা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। শুক্রবার জলপাইগুড়ির এবিপিসি মাঠের নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চা বাগানে পাট্টা দিচ্ছি। বাদ বাকিও সবাই পাবেন। এমনকি, লাইনের লোকেরা যারা যে যেখানে আছেন, পাবেন।” সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি কী করে চা শ্রমিকদের জন্য! মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো চা বাগানের পোশাক পরে চা পাতা তুলি, চা বানাই, আদিবাসী মেয়েদের সঙ্গে নৃত্যও করি, রাজবংশী সংস্কৃতিও করি। সবটাই যদি আমরা করি, আপনি এসে কী করবেন মোদীবাবু?”

শুক্রবার কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি দুই সভা থেকেই বিজেপির প্রচার স্লোগান ‘মোদী গ্যারান্টি’-কে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়। পাল্টা তিনি নিজে যে উত্তরবঙ্গের পাশে সব সময়ে থাকেন তা-ও জানান। ছোট চা চাষিদের কেন্দ্রের চা পর্ষদের নয়া রাসায়নিক কীটনাশক বিধি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। চা পর্ষদের কড়াকড়িতে চা কারখানাগুলি ছোট চা চাষিদের থেকে পাতা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। এর পরে, চা পর্ষদের সঙ্গে প্রশসানের বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরোয়।কোচবিহারের সভায় সে প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির গ্যারান্টি? শূন্য। এখনও পর্যন্ত কিছু করেছে? দশ বছর বিজেপি জিতেছে। চা বাগানের দশ লক্ষ শ্রমিকের খাওয়াটাও বন্ধ করে দিয়েছিল। পাতা তোলা বন্ধ করে দেন। গতকাল আমি খুলে দিয়েছি। দশ লক্ষ শ্রমিককে সাহায্যকরেছি।’’ জলপাইগুড়িতে এসেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ছোট চা বাগানের ১০ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে শুনেছিলাম, আমি সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে জানালাম। আজ থেকে কাজ শুরু হয়েছে।’’

বিজেপির জলপাইগুড়ির সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী জয়ন্ত রায় বলেন, “পুরোটাই হাস্যকর। চা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়া চা উৎপাদন হবে, তার জন্য ছোট চা বাগানগুলিকে দু’বছর সময় দিয়েছে। কেন্দ্রে আমাদের মন্ত্রীরা এ নিয়ে চা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে সমাধান সূত্র বার করেছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement