Lok Sabha Election 2024

বিরাম নেই ভোট সেনাপতিদের

সেনাপতিদের কেউ দিনভর আগলাচ্ছেন দলের অফিস, কেউ বা দিনের মধ্যে বার বার ছুটছেন স্ট্রংরুমে ইভিএম পাহারার তদারকিতে।

Advertisement
বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ০৭:২১
ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় হোডিং এ সাজছে বহরমপুর।

ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় হোডিং এ সাজছে বহরমপুর। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

ভোট শেষ। গণনাও বাকি বেশ কয়েক দিন। কিন্তু বিরাম নেই যেন ভোট সেনাপতিদের। ভোট মিটলেও নিরলস কেন্দ্রীয় বাহিনীও। প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ালেও তাঁদের প্রচার থেকে নির্বাচন কমিশনের হাজারো হ্যাপা সামলাতে হয় এই সব সেনাপতিদেরই। সরকারি ভাষায় তাঁরা প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট। প্রার্থীর হয়ে যাবতীয় কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁদের হাতে। অথচ লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে মুখ বুজে কাজ করে যান তাঁরা। টেনশনের চাপে তাদের ঘুমও কমে। বেড়ে যায় চা ও সিগারেটের টান।

Advertisement

সেনাপতিদের কেউ দিনভর আগলাচ্ছেন দলের অফিস, কেউ বা দিনের মধ্যে বার বার ছুটছেন স্ট্রংরুমে ইভিএম পাহারার তদারকিতে। যদিও ইতিমধ্যেই ইভিএম স্ট্রং রুমের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। নির্বাচনের পদাধিকারী ছাড়া জেলা প্রশাসন বা রাজ্য পুলিশের কারও ঢোকাও নিষেধ সেখানে।

এ বারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ খলিলুর রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট বিকাশ নন্দ। গতবারও তিনিই সামলেছেন সে কাজ। স্ট্রংরুম থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব ৬০০ মিটার। প্রার্থী খলিলুরকে প্রচারের ফাঁকে ফাঁকেই ছুটতে হয়েছে কলকাতা। প্রচারে ছুটে বেড়াতে হয়েছে সুতি থেকে রাধারঘাট সর্বত্র। তাই তাঁর নির্বাচনের দায়িত্বের সবটাই সামলেছেন বিকাশই। আর প্রার্থী সামলেছেন প্রচার, মিছিল, মিটিং।

বিকাশের কথায়, “৭ মে ভোট সেরে রাত ৯টায় বাড়ি ঢুকে একটু ফ্রেশ হয়ে ফের রাতেই বেরিয়েছি গাড়ি নিয়ে ইভিএমের তদারকিতে। রাতভর কেটেছে সেখানেই। বুধবার ফের পর্যবেক্ষক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মিটিং সেরে রঘুনাথগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের গণনা কেন্দ্রের স্ট্রংরুমে ইভিএম সিল করতে সন্ধে গড়িয়েছে। খড়গ্রাম, নবগ্রাম ও লালগোলার ইভিএম অন্য মহকুমা থেকে আসার পরে সেগুলো সিল করার দায়িত্ব সামলে আপাতত কিছুটা নিশ্চিন্ত। কিন্তু ঘুম কি আর আসে? ফোন সামলাতেই ব্যস্ত। সবাই চিন্তায় আছে ফল নিয়ে।”

জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেনের সেনাপতি লালগোলার বাসিন্দা হারুণ অল রশিদ।তিনি বলছেন, “প্রার্থী তো ব্যস্ত ছিলেন প্রচারে। সভার অনুমতির ব্যবস্থা করা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলা, কয়েক হাজার এজেন্ট ফর্মে সই করে ৭টা বিধানসভায় ভোটের আগে পাঠানো, তার উপর প্রচারে সকাল থেকে রাত গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হয়েছে এই রৌদ্রে। অনিয়ম হয়েছে প্রচুর।”

বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের সেনাপতি ছিলেন এক স্থানীয় হাই স্কুলের শিক্ষক সৌমিত্র সরকার। তিনি বলেন,“১২ এপ্রিল নোটিফিকেশন জারির পর থেকে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে প্রার্থীর সব দায়িত্বটাই সামলাতে হয়েছে আমাকে। সব ইভিএম সিল করে আপাতত স্বস্তিতে। তবে মাঝে মধ্যে স্ট্রং রুমে যাওয়া চলবে গণনার আগের দিন পর্যন্ত।” তবে নির্বাচন কমিশনের এই ব্যবস্থাপনায় খুশি সব দলের প্রার্থীরাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement