ফারুক আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র ।
পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবের পর জাতীয় স্তরে আবারও ধাক্কা খেল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। এ বার একা লড়ার বার্তা দিলেন ‘জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’ দলের প্রধান তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ফারুক জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে না গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল।
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, ন্যাশনাল কনফারেন্স তাদের নিজের শক্তিতে নির্বাচনে লড়বে। এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এ নিয়ে আর কোনও প্রশ্নও থাকা উচিত নয়।’’
জম্মু ও কাশ্মীরে তিন বার মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন ফারুক। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র এক জন শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ার প্রতিটি সভাতেই যোগদানও করেছিলেন। গত মাসেই ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে ঐকমত্যের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ফারুক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বলের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলার সময়, ফারুক এ-ও বলেছিলেন, ‘‘আমাদের যদি দেশকে বাঁচাতে হয়, তা হলে নিজেদের মধ্যে পার্থক্য ভুলে দেশ নিয়ে ভাবতে হবে।’’ তবে কেন তাঁর দল হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিল, সে বিষয়ে ফারুক বিস্তারিত ভাবে কিছু বলেননি।
উল্লেখযোগ্য যে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের কাঠুয়া জেলার সভাপতি-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ‘একলা চলো’ বার্তা দিলেন ফারুক।
কয়েক দিন আগেই লোকসভায় পঞ্জাবে তেমন কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় খারিজ করে দিয়েছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জানিয়ে দিয়েছিলেন, পঞ্জাবের সব আসনেই লড়াই করবে আপ। শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে লোকসভায় একলা লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে মতান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এনডিএ-তে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধরিও। এই আবহে জম্মু ও কাশ্মীরেও বিরোধী জোটের একসঙ্গে ভোটে লড়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।