ভূপতিনগরে এনআইএ হানার পর উত্তেজনা। —ফাইল চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে এসে স্থানীয়দের হাতে ‘আক্রান্ত’ এনআইএ আধিকারিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ। গত শনিবার বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন মানুষ তাদের গাড়িতে হামলা করেন। তদন্তকারীদের গাড়ির কাচ ভাঙে। আহত হন এক আধিকারিক।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে নেমে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। তাদের গাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন জন আধিকারিক প্রহৃত হন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই একই মামলার তদন্তে গিয়ে ইডির আর একটি দল প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় বনগাঁয়। সেখানে প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে হানার সময় তাদের গাড়িতে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এএনআই একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় তদন্তের সুবিধার্থে আহত এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান বলে খবর। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ।