Varun Gandhi

বিজেপি টিকিট না দেওয়ার পরে পিলভিটবাসীকে চিঠি বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধীর, কী লিখলেন?

সেই চিঠিতে পিলিভিটের সঙ্গে তাঁর আশৈশব অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা বরুণ লিখেছেন। যা থেকে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৪
বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।

বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

মা মেনকা গান্ধীকে সুলতানপুরে আবার টিকিট দিলেও লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী করেনি তাঁর পুত্র তথা পিলিভিটের বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধীকে। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়তে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পিলিভিটের ভোটদাতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন বরুণ।

Advertisement

সেই চিঠিতে পিলিভিটের সঙ্গে তাঁর আশৈশব, অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা লিখেছেন বরুণ। যা থেকে নতুন করে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আজ যখন আমি এই চিঠি লিখছি, অসংখ্য স্মৃতি আমাকে আবেগাপ্লুত করে তুলছে। তিন বছরের শিশু যখন ১৯৮৩ সালে প্রথম বার তাঁর মায়ের সঙ্গে পিলিভিটে এসেছিল, সে কী তখন জানত যে এক দিন এই মাটি তার কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠবে। এখানকার মানুষ হয়ে উঠবেন তার পরিবারের অংশ।’’

পিলিভিটের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বলেছেন বরুণ। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘সাংসদ হিসাবে আমার মেয়াদ শেষ হতে চললেও, পিলিভিটবাসীর সঙ্গে সম্পর্ক জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বজায় থাকবে।’’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বরুণ তাঁর নির্দল প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনায় ইতি টানলেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে পিলিভিট কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন বরুণ। ২০১৪-তে তাঁর মা মেনকা পিলিভিটে দাঁড়ান এবং জেতেন। বরুণ সে বার উত্তরপ্রদেশেরই সুলতানপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯-এর ভোটে বরুণ পিলিভিটে এবং মেনকা সুলতানপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। এরই মধ্যে বিদায়ী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বুধবার বলেন, “বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে আসা উচিত। উনি কংগ্রেসে আসলে আনন্দিত হব।”

আরও পড়ুন
Advertisement