Lok Sabha Election 2024

ভোট গণনায় কমিশনের এ বার ‘বিশেষ নির্দেশিকা’

গণনার টেবিলে থাকবেন একজন করে গণনা সহায়ক থাকবেন তাঁরা আধিকারিক স্তরের পদমর্যাদার হবে।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১০:০৯
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোট মিটতেই গণনার নির্দেশিকা প্রশাসনকে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। জলপাইগুড়িতে প্রথম পর্যায়ে ভোট হয়েছে। গণনার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রতিটি টেবিলে একজন করে রাজ্য অথবা কেন্দ্রের ‘গেজেটেড অফিসার’ থাকবেন, যাঁদের গণনা তত্ত্বাবধায়ক তথা কাউন্টিং সুপারভাইজ়ার বলা হবে। ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনার জন্য চারজন করে কর্মীর বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, ভিভিপ্যাট গোনার কর্মীরা দু’টি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার হলে ভাল হয়। গণনার প্রক্রিয়ায় স্থায়ী প্রশাসন তথা পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়োগ করা যাবে না বলে কমিশন জানিয়েছে।

Advertisement

গণনার টেবিলে থাকবেন একজন করে গণনা সহায়ক থাকবেন তাঁরা আধিকারিক স্তরের পদমর্যাদার হবে। সেই সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী একজন মাইক্রো পর্যবেক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। গণনা তত্ত্বাবধায়ককে ‘গেজেটেড অফিসার’ হতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, গণনা তত্ত্বাবধায়কদের গেজেটেড অফিসার হতেই হবে, এমন নির্দেশ অভিনব। সাধারণত অভিজ্ঞ আধিকারিকদেরই গণনার টেবিলে তত্ত্বাবধায়কদের রাখা হত। এ বারে কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশ, গেজেটেড অফিসারই রাখতে হবে। প্রতি বিধানসভার ক্ষেত্রে গড়পরতা ২০টি করে টেবিল থাকবে বলেই প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে। সেই অনুপাতে স্থির হবে, কত রাউন্ডে গণনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলির থেকে এজেন্টের তালিকাও চেয়েছে কমিশন।

কমিশনের পাঠানো নির্দেশিকায় গণনার আগে তিনবার কর্মীদের ঝাড়াই-বাছাই করে নিতে বলা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই অন্তত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মী মজুত রাখতে বলা হয়েছে। কমিশনের তরফে নির্দেশিকা পাঠিয়ে গণনার দিন কত আধিকারিক-কর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং তাঁদের কোথায় দায়িত্ব দিতে হবে তাও স্পষ্ট বলা হয়েছে। প্রতি বিধানসভার স্ট্রং রুমের জন্য দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনার কাজে চারজন কর্মী থাকবে। সেখানে বাছাই করা ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনা হবে। কমিশনের নির্দেশ, ভোট প্রচারে অংশ নিয়েছেন এমন কোনও সরকারি কর্মীকে গণনা কেন্দ্রের চৌহদ্দিতে সরকারি কোনও দায়িত্বে রাখা যাবে না।

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “কমিশনের নির্দেশিকা এসেছে। মোটামুটি সবই একটি ম়ডেলে হয়। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।” তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম তিন দলের তরফেই গণনার এজেন্টদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement