Lok Sabha Election 2024

নির্বিঘ্নে ভোট উতরোতে আগেই ধরপাকড়, বাজেয়াপ্ত গুলি-বোমা  

পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত ১৩ মে— এই সময়কালে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭০ রাউন্ড গুলি এবং ৮৬টি বোমা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ০৮:১৭
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

আগামী পয়লা জুন শহরের ভোটে বিশৃঙ্খলা রুখতে আগেভাগে কোমর বাঁধছে কলকাতা পুলিশ। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গত ১০ দিনে ২৩ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এন্টালি, নারকেলডাঙা, তিলজলা, বন্দর এলাকার দাগি অপরাধীরা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন কয়েক জনকেও, যারা ভোটের দিনে গোলমাল পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো শুরু হয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত ১৩ মে— এই সময়কালে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭০ রাউন্ড গুলি এবং ৮৬টি বোমা। তবে এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, শুধু ভাঙড় থেকেই মিলেছে ৮৬টি বোমা! প্রতিদিন সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের অধীনে আসার পরে এ বারই প্রথম ভাঙড়ে ভোট হচ্ছে। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে হিংসার ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাই এ বার সেখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এর পাশাপাশি, ভোটের দামামা বাজার পরপরই নির্বাচন কমিশন সব চেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার উপরে। এই পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজার জানিয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত ১০১৭২টি জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করেছে। সেই সঙ্গে গত ডিসেম্বর থেকে ১৩ মে পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। মূলত বড়বাজার, পোস্তা এবং জোড়াসাঁকো এলাকা থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানান, আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ ৪৮ লক্ষ টাকা। যার বেশির ভাগই ধরা পড়েছে জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।

অন্য দিকে, নির্বাচনের জন্য কলকাতা পুলিশ কত দূর প্রস্তুত, লালবাজারে এসে তা খতিয়ে দেখলেন ১৩ জন পর্যবেক্ষক। বৃহস্পতিবার তাঁরা কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি-বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, কলকাতার কোথাও গোলমালের আশঙ্কা আছে কি না, তা জানতে চান পর্যবেক্ষকেরা। একই সঙ্গে অতীতের ভোটে শহরের কোথায় কোথায় গোলমাল কিংবা অশান্তি হয়েছিল, তারও খোঁজখবর নেন তাঁরা। ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তা-ও এ দিন লালবাজারের তরফে পর্যবেক্ষকদের জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement