Lok Sabha Election 2024

নির্ঘণ্ট শুনেও বিজেপি অফিসে ‘উদ্দীপনা’ নেই

‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন’ (জিটিএ)-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা সুকনায় পিনটেল ভিলেজেই দিনভর ছিলেন বলে তার দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement
সৌমিত্র কুন্ডু, নীতেশ বর্মণ
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৩
খাঁ কাঁ করছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি কার্যালয়।

খাঁ কাঁ করছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি কার্যালয়। ছবি: সন্দীপ পাল।

নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়ে অধীর অপেক্ষার অবসান হল শনিবার বিকেলে। আর নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই নানা হিসেব কষা শুরু হল উত্তরের বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। শিলিগুড়িতে বিজেপি, সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে বসেই নেতা, কর্মীরা ঘোষণা শুনলেন। কেউ দলীয় বৈঠক করেছেন, কোথাও দলীয় প্রচারে নেতাদের নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত ছিলেন নেতৃত্ব। তুলনায় লোক কম হিলকার্ট রোডে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে। দুপুরের দিকে কয়েকজন লোক থাকলেও বিকেলের দিকে ফাঁকা হয়ে যায়। যদিও পরে ভিড় হয়েছে বলে দাবি। তৃণমূল জানায়, প্রার্থীর প্রচারে দক্ষিণবঙ্গ বেশি সময় পেলেও দ্বিতীয় দফায়, ২৬ এপ্রিল এখানে ভোট। সময় কম।

Advertisement

‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন’ (জিটিএ)-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা সুকনায় পিনটেল ভিলেজেই দিনভর ছিলেন বলে তার দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে বসেই ভোট ঘোষণা শুনেছেন তিনি। পাহাড়ে দলের অন্য নেতা-কর্মীরা প্রচারের প্রস্তুতিতে ছিলেন। তাঁদের প্রার্থী তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে চকবাজারে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বসে ঘোষণা শুনেছেন বিনয় তামাং ও দলের অন্যেরা। শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের অফিস অন্ধকারই ছিল।

শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র প্রবীণ তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, ‘‘দ্বিতীয় দফাতেই এখানে ভোট।
আমরাও প্রস্তুত।’’ প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র শক্তি শর্মার দাবি, ‘‘উত্তরবঙ্গে শুরুর দিকে ভোট করানো হচ্ছে। বিজেপির অনেকেই তাতে খুশি। কারণ, সংগঠন তাদের অনেক জায়গায় কম। এক জায়গার লোকজনদের অন্য জায়গায় নিয়ে প্রচারের কাজে লাগাতে পারবেন। তাতে লাভ হবে না।’’

মাল্লাগুড়িতে জেলা পার্টি অফিসে বসে নির্বাচন ঘোষণা শুনেছেন বিজেপি নেতারা। তার আগে, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে দলের কর্মসূচি নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। তবে দার্জিলিং আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় দলের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ চলছে। নেতাদের একাংশ দলের বিভিন্ন কাজে যোগ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ভোট ঘোষণা হয়েছে বলে তাঁদের তাড়া দেওয়াও হয়েছে এ দিন। প্রার্থী ঘোষণা হলেই তাঁদের একাংশ প্রচারে এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে নামবেন বলে জানিয়েছেন। এ দিনও দলীয় কার্যালয়ে খুব বেশি লোকজন ছিল না। যদিও জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে ভোটের দিনে সন্ত্রাসের ঘটনা নতুন নয়। সাত দফায় নির্বাচন ঘোষণা ভোটারদের উৎসাহ জোগাবে। দলীয় অফিসে কম লোক থাকলেও প্রচারের কাজে বিভিন্ন এলাকায় ছুটছেন অনেকেই।’’

সিপিএমের জেলা অফিস অনিল বিশ্বাস ভবনেও নেতাদের ভিড় ছিল। তাঁরা প্রচার-কৌশল থেকে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে দাবি। প্রাক্তন সভাধিপতি তাপস সরকার, জেলার নেতা গৌতম ঘোষ, কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তী এবং আরও কয়েক জন নেতা ছিলেন। দলের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, ‘‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমরা প্রস্তুত। সাত দফায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে উৎসাহ দেবে। এ দিন বুথ থেকে জেলা পর্যায়ে দলের হাল-হকিকত নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’’

তৃণমূলের দাবি, সকালের দিন দলীয় অফিসে কর্মীরা গিয়েছিলেন। সেখানে বসেই ভোট ঘোষণা শুনেছেন। বিকেলের পরে একে একে ভিড় করেন দলীয় কার্যালয়ে। ভোটের আগে দলীয় অফিস যাতে ফাঁকা না থাকে, সে জন্য একাধিক বার বার্তা দিয়েছেন নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন
Advertisement