সিদ্ধান্ত মহাপাত্র এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন স্ত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওড়িয়া সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহাপাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘রচনা নয়, আগে শুভেচ্ছা জানাব লকেটকে।’’ অন্য দিকে, হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনার প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্তের বিজেডি (বিজু জনতা দল) ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। সেই সঙ্গে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট নাম না করে রচনাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘উনিও আসবেন।’’ সিদ্ধান্তের বিজেপি যোগদানের খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রচনাও। তবে একই সঙ্গে বলেছেন, তিনি শুধুমাত্র ‘দিদি’র পক্ষে।
বুধবার ভোটের প্রচারে বেরিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাক্তন স্বামীর পদ্মশিবিরে যোগদান নিয়ে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বুঝতে পেরেছেন যে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে গেলে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরতে হবে। কিন্তু ইনি (রচনা) বুঝতে পারেননি। ভুল করে চলে এসেছেন দিদি নম্বর ওয়ান থেকে। ওঁকে পস্তাতে হবে পরে।’’ কটাক্ষের সুরে লকেট বলেন, ‘‘পরে বলবেন, না জেনে কোন দলে এলাম। আসতে (রাজনীতিতে) যদি হত তা হলে নরেন্দ্র মোদীজির হাত ধরতে হত। আমি জানি আজ না হয় কাল, তাঁকে আসতেই হবে।’’
বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সিদ্ধান্ত। রচনার প্রাক্তন স্বামী ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। ২০০৯ সালে ব্রহ্মপুর লোকসভা আসনে বিজেডির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালেও ওই একই আসন থেকে জিতেছেন। তবে গত লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি সিদ্ধান্ত। তাঁর বিজেপিতে আসা নিয়ে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট বলেন, ‘‘সবাই বিজেপির হাত ধরছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে চলেছে।’’ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে লকেট বলেন, ‘‘ওড়িশায় উনি খুব বড় সেলেব্রিটি। আমরা একসঙ্গে যখন কাজ করেছি, উনি দারুণ কাজ করতেন।’’
হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বুধবার পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন। প্রথমে মহেশপুর গ্রামে হুডখোলা গাড়িতে জনসংযোগ করেন। তার পর আমদাবাদ গ্রামে কালীমন্দিরে পুজো দেন। তৃণমূল প্রার্থীকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে সিদ্ধান্তের বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে রচনা বলেন, ‘‘আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল তাঁর জন্য।’’ পাশাপাশি রচনা এ-ও বলেন, ‘‘আমি দিদির সঙ্গে আছি। দিদির পাশে আছি। পশ্চিমবঙ্গের যাতে উন্নতি হয়, আমি তার জন্য লড়াই করছি। এখন আমি হুগলিবাসীর কথা বলব। এখন আমি হুগলিতে এসেছি। তাই হুগলির কথাই বলব। হুগলির উন্নয়ন করব। তারপর কে কোথায় যাচ্ছেন, কে কোথায় যোগদান করছেন, কে কী বলে বেড়াচ্ছেন, এত ভাবার এবং বলার সময় আমার নেই।’’