Lok Sabha Election 2024

অনন্ত রায়কে তোপ বিজেপি নেতার, ‘চাপ’ বাড়ল দলের

বক্তব্যে ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছেন কোচবিহার জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কোচবিহার লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক দীপ্তিমানকে ‘সিনিয়র লিডার’ বলে উল্লেখ করে ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৪
অনন্ত মহারাজ।

অনন্ত মহারাজ। নিজস্ব চিত্র।

গ্রেটার কোচবিহার পিপল‌্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নগেন্দ্র রায় তথা অনন্ত মহারাজকে সমাজ মাধ্যমে ‘লাইভ’ করে তীব্র আক্রমণ করলেন দলেরই এক নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। দু'দিন আগেই অনন্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করবে না, দাবি করে ক্ষোভের কথা জনান। দীপ্তিমান সমাজ মাধ্যমে বলেন, ‘‘অনন্ত মহারাজ যে পক্ষে যাবেন, সেই পক্ষ ভোটে হারবে।’’

Advertisement

যে বক্তব্যে ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছেন কোচবিহার জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কোচবিহার লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক দীপ্তিমানকে ‘সিনিয়র লিডার’ বলে উল্লেখ করে ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। অনন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘সোনাকে অপরিষ্কার জিনিস দিয়েই পরিষ্কার করতে হয়। তাই হয়তো আমার বিরুদ্ধে এমন বলছেন। দীপ্তিমান সেনগুপ্তকে আমি সে ভাবে চিনি না। এটুকু বলতে পারি, এটা যে থালায় খাবে, সেই থালায় ছেদ করার মতো বিষয় হয়ে গেল।’’

গত ২ মার্চ বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। সেখানে কোচবিহার আসনে নিশীথ প্রামাণিককে ফের প্রার্থী করার কথা জানানো হয়। পরদিনই ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগেন্দ্র। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে তাঁকে জানিয়েছেন, কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হবে না। এ ছাড়া, প্রার্থী নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করাতেও ক্ষুব্ধ হন তিনি। দলের হয়ে প্রচার তো পরের বিষয়, জনগণ চাইলে তিনি রাজ্যসভার পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলেও দাবি করেন। বুধবার রাতে সেই সব প্রসঙ্গ তুলেই অনন্তের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দীপ্তিমান। সমাজ মাধ্যমে বলেন, ‘‘মহারাজ (নগেন্দ্র রায়) ইন্ডিয়ান অয়েলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। কোচবিহরের মানুষকে ঠকিয়ে প্রাসাদ তৈরি করেছেন তিনি। নিজেই নিজের নাম দিয়েছেন মহারাজ। ’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তাঁর (অনন্ত) এতই যদি প্রভাব, তা হলে ধূপগুড়ি বিধানসভা দলের হাতছাড়া হল কেন? সাংসদ হয়ে উনি তো ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে ষাট-সত্তর শতাংশের উপরে রাজবংশী ভোটার রয়েছেন।’’

রাজ্যসভায় জ়িরো আওয়ারে নারায়ণী সেনার কথা অনন্ত তুলেছেন কি না প্রশ্ন করে দীপ্তিমানের মন্তব্য, ‘‘যদি উনি বলেন, বিজেপিকে ভোট দাও, তা হলে হারার সম্ভাবনা আছে। আর যদি বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া যাবে না, তা হলে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে। বিজেপির
প্রার্থী ঠিক করতে গিয়ে ওঁকে কেন জিজ্ঞেস করতে হবে। উনি কে?’’ বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তারা দীপ্তিমানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, ‘‘ওই বক্তব্য দলের নয়। অনন্ত মহারাজ কোচবিহারে ফিরলে, আমরা আলোচনায় বসব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement