Lok Sabha Election 2024

জগনকে হারাতে চন্দ্রবাবু, পবন বিজেপির সহযোগী হচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশে, আসন রফার সূত্র নিয়ে বৈঠক

২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গী ছিলেন চন্দ্রবাবু। অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮-য় এনডিএ ছেড়েছিলেন। গত বছর নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী ছিলেন পবন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৯
নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং পবন কল্যাণ (বাঁ দিক থেকে)।

নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং পবন কল্যাণ (বাঁ দিক থেকে)। — ফাইল চিত্র।

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট চূড়ান্ত হল বিজেপির। আসন্ন লোকসভা এবং অন্ধ্র বিধানসভা নির্বাচনে তিন দল আসন সমঝোতা করবে লড়বে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন টিডিপির রাজ্যসভা সাংসদ কে রবীন্দ্র কুমার।

Advertisement

রবীন্দ্র শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা তিন দল নীতিগত ভাবে এক সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা লড়ব। সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে টিডিপি ১০ থেকে ১২টিতে লড়বে। বিজেপি লড়বে ছয় থেকে আটটিতে। পবনের দলের ভাগে পড়তে পারে তিন থেকে চারটি।

অন্ধ্র বিধানসভার ১৭৫টি আসনের রফাসূত্র নিয়ে অবশ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। কারণ, এর মধ্যে ১১৮টিতে ইতিমধ্যেই টিডিপি-জনসেনা রফার কথা ঘোষণা করেছে। চন্দ্রবাবুর দল ৯৪ এবং পবনের দল ২৪টিতে লড়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ওই আসনগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে লড়তে বদ্ধপরিকর বিজেপি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দু’দলই তাদের ভাগের কয়েকটি বিধানসভা আসন পদ্ম-শিবিরকে ছেড়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চন্দ্রবাবু। এর পরে শুক্রবার সকালে দিল্লি পৌঁছে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেন পবন। সেখানেই প্রাথমিক সমঝোতাসূত্র তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালে একা লড়ে অন্ধ্রে লোকসভার তিনটি আসনে জিতেছিল টিডিপি। বাকি ২২টি পেয়েছিল জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিধানসভার জগনের দল ১৫১টিতে জয় পায়। চন্দ্রবাবুর ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ২৩টি। এ বার তিন দলের জোট মুখ্যমন্ত্রী জগনকে বেগ দিতে পারে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছেড়েছিল টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। ছ’বছর পরে আবার এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাঁর।

পবন ২০১৯-এ লোকসভা-বিধানসভা ভোটের আগে জনসেনা গড়ে আলাদা ভাবে লড়েছিলেন। কিন্তু দু’টি কেন্দ্রে লড়েও বিধায়ক হতে পারেননি। ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় মাত্র একটিতে জিতেছিল তাঁর দল। পবনের দাদা চিরঞ্জীবীও তেলুগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০০৯-এ ভোটের ঠিক আগে নিজের দল প্রজারাজ্যম পার্টি গড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তবে দাদার সঙ্গে প্রজারাজ্যম পার্টির প্রচার করলেও পবন কখনও কংগ্রেসে যোগ দেননি।

আরও পড়ুন
Advertisement