Lok Sabha Election 2024

রাজ বব্বর, আনন্দ শর্মাকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করল কংগ্রেস, কোন কেন্দ্রে লড়বেন দুই প্রবীণ নেতা?

একদা মুলায়ম সিংহ যাদবের অনুগামী রাজ ২০০৮ সালে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৯-এ অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পলকে ফিরোজাবাদ কেন্দ্রে পরাস্ত করেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০২
(বাঁ দিকে) রাজ বব্বর এবং আনন্দ শর্মা।

(বাঁ দিকে) রাজ বব্বর এবং আনন্দ শর্মা। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ রাজ বব্বরকে প্রার্থী করল কংগ্রেস। হিমাচল প্রদেশের কাংড়া থেকে প্রার্থী করা হল দলে ‘বিক্ষুব্ধ’ হিসাবে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য আনন্দ শর্মাকে। মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত নয়া প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন এই দুই নেতা।

Advertisement

একদা মুলায়ম সিংহ যাদবের অনুগামী রাজ ২০০৮ সালে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৯-এ অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পলকে ফিরোজাবাদ কেন্দ্রে পরাস্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪-র লোকসভা ভোটে গাজ়িয়াবাদ কেন্দ্রে হেরে যান রাজ। এর পর উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। কিন্তু ভরাডুবির পরে ইস্তফা দিয়ে কার্যত সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।

একদা সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি আনন্দ ইউপিএ সরকারের জমানায় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পরে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে কংগ্রেসের অন্দরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী তৎকালীন সভানেত্রী সনিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ২৩ জন নেতা। কংগ্রেসের অন্দরে তাঁরা পরিচিত ‘জি-২৩’ হিসেবে। সেই দলে ছিলেন আনন্দও। ‘জি-২৩’-এর সদস্য গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, জিতিন প্রসাদ, মিলিন্দ দেওরারা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন।

ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দের রাজ্য হিমাচলে সম্প্রতি ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগেই আনন্দ প্রকাশ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা জাতগণনার দাবির বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘জাতগণনার দাবি ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর চিন্তাধারার পরিপন্থী। সরকারি চাকরিতে জাতভিত্তিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়া বেকারত্বের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।’’ রাহুলের জাতগণনার প্রতিশ্রুতিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পাঠানো চিঠিতে আনন্দ লেখেন, ‘‘কংগ্রেস তার ইতিহাসে কখনওই জাতপাতের রাজনীতিকে অনুমোদন করেনি। জাতপাতের রাজনীতি আদতে গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।’’ এ প্রসঙ্গে ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে ইন্দিরার স্লোগান ‘না জাত পর, না পাত পর, মোহর লাগেগি হাত পর’-এর উল্লেখও করেন তিনি।

ফলে জল্পনা ছিল তিনিও দল ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু হিমাচলে সঙ্কটের পরিস্থিতিতে আনন্দের উপর ভরসা রাখল কংগ্রেস হাইকমান্ড। হিমাচলের হামিরপুর আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রার্থী করেছে উনার বিধায়ক সতপাল রাইজ়াদাকে।

আরও পড়ুন
Advertisement