রাজস্থানের বিজেপি নেত্রী জ্যোতি মির্ধা। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের বিদায়ী সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের পর এ বার সংবিধান বদলে ফেলে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার সওয়াল করলেন রাজস্থানের বিজেপি নেত্রী জ্যোতি মির্ধা। গত সপ্তাহে নাগৌর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতি ওই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
অভিযোগ, নাগৌরের প্রচার সভায় জ্যোতি বলেন, ‘‘জাতীয় স্বার্থেই দেশের অন্দরে বদল প্রয়োজন। আমাদের কিছু কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। আপনারা সকলেই জানেন, আমাদের যদি সংবিধান সংশোধন করতে হয় তবে সংসদের দুই কক্ষ, লোকসভা এবং রাজ্যসভার অনুমোদন প্রয়োজন। তাই বিজেপিকে ভোট দিন।’’
কংগ্রেস নেতা তথা শশী তারুর, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব-সহ বিরোধী নেতানেত্রীরা মঙ্গলবার কড়া ভাষায় জ্যোতির মন্তব্যের নিন্দা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন জ্যোতি।
প্রসঙ্গত, মার্চের গোড়ায় কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার দাবি করেছিলেন, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করতে হলে প্রয়োজন সংবিধানে পরিবর্তন এবং সংবিধানে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সেই কারণে বিজেপি চারশো আসনের লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে নেমেছে। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের মাস দেড়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতি। তাঁর ঠাকুরদা নাথুরাম মির্ধা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ইন্দিরা গান্ধীর জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জ্যোতিও ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে নাগৌর থেকে জিতেছিলেন।