Lok Sabha Election 2024

জেলার চার কেন্দ্রে ব্যবধান বাড়ানোর ডাক অভিষেকের

এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার চার আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের ব্যবধান নিয়ে প্রতিযোগিতার সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
সমরেশ মণ্ডল
পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ০৬:৫০
পাথরপ্রতিমার জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাথরপ্রতিমার জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজের কেন্দ্রে চার লক্ষ ভোটে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছিলেন আগেই। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার চার আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের ব্যবধান নিয়ে প্রতিযোগিতার সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

মঙ্গলবার পাথরপ্রতিমায় এক জনসভায় অভিষেক বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। কে আগে জিতবে, কে প্রথম হবে? ২০১১, ২০১৬, ২০২১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। লোকসভায় ২০১৪ সালে যে ব্যবধান ছিল, ২০১৯ সালে যে ব্যবধান ছিল, ২০২৪ সালে সেই ব্যবধান পেরিয়ে যেতে হবে। এই জেলার চার আসন নিয়ে প্রতিযোগিতা চলুক।”

একই সঙ্গে অভিষেক ‘কেন্দ্রের বঞ্চনার’ অভিযোগও তোলেন সভা থেকে। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে অমিত শাহ মথুরাপুরে সভা করতে এসে বলেছিলেন, আমরা সুন্দরবনে উন্নয়নের লক্ষ্যে দু’লক্ষ কোটি টাকা দেবো। ভোটের পরে এই বহিরাগত পরিযায়ীদের টিকির দেখাও মেলেনি।’’ একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নে যে তৃণমূল পাশে আছে, তিনি বার বার সেই দাবি করেন।

তবে যে জেলায় আইএসএফের জমি বেশ শক্ত, বামেরা কিছুটা হলেও পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে এবং কয়েকটি এলাকায় বিজেপির জোর রয়েছে, সেখানে চারে চার করার ডাককে সমালোচনা করেছেন সব বিরোধীই। তাঁদের মতে, এর মধ্যে জোর করে ভোট করিয়ে নেওয়ার উস্কানি আছে।

রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এই বক্তব্য প্ররোচনামূলক। অশান্তি তৈরির চেষ্টা। সারা রাজ্যে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে চায় তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা তার ভরকেন্দ্র। বিরোধীশূন্য রাজনীতির স্বার্থে চূড়ান্ত দখলদারির নমুনা তৈরি করছে তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন।’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকার সময়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত করতে পারলে আর্থিক পুরস্কার দেবেন! বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে শুভেন্দুর পথেই অভিষেক চলেন। তবে দখলদারি করতে এলে মানুষই এ বার রুখে দাঁড়াবেন।’’

প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের মতেও, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের বিস্তীর্ণ এলাকায় যে ভাবে বিরোধীদের দুরমুশ করে ভোট করিয়ে নেয় তৃণমূল, অভিষেক সেটাই চাইছেন। এটাই ওঁর ডায়মন্ড মডেল!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement