WBCHSE Semester System

একাদশের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু কবে থেকে?

১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এ বার থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা বছরে দু’বার করে পরীক্ষা দেবে। প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ওএমআর শিটে এবং মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৮

সংগৃহীত চিত্র।

নতুন সিলেবাসের নয়া পদ্ধতিতে এ বছর একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৩ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এ বার থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা বছরে দু’বার করে পরীক্ষা দেবে। প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ওএমআর শিটে। প্রশ্নপত্র হবে এবং মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে। এ ছাড়াও রয়েছে একাধিক পরিবর্তন।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সিলেবাস পরিবর্তনের পরে সিমেস্টার পদ্ধতিতে শুক্রবার থেকে প্রথম পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এটা একটা অভিনব পদক্ষেপ শিক্ষা সংসদের। একাধিক নতুন বিষয় ও পরিবর্তনের মাধ্যমে সর্বভারতীয় পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ব্যবস্থা শুরু করা হচ্ছে।”

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেওয়া নির্ধারিত সময় ও রুটিন মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও প্রশ্নপত্র তৈরি করছে স্কুলগুলি। যেহেতু এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ওএমআরশিটে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে, তাই ওএমআরশিটের রেপ্লিকা সমস্ত স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দিয়েছে সংসদ। স্কুলগুলিকে তা ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থীদের দিতে হবে। অর্থাৎ প্রশ্ন করবে স্কুল, পরীক্ষা হবে ওএমআরশিটে। তবে যেহেতু স্কুলগুলি খাতা দেখবে, তাই মূল্যায়ন হবে পুরনো পদ্ধতি মেনেই।

শিক্ষা সংসদের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পরীক্ষা হবে প্রতিদিন বিকেল ৩টে থেকে ৪টে ১৫ পর্যন্ত। মোট এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা। ভিজ্যুয়াল আর্টস, মিউজিক এবং ভোকেশনাল সাবজেক্টের ক্ষেত্রে পরীক্ষার সময়সীমা ৪৫ মিনিট। তবে পরীক্ষা শুরু হবে বিকেল ৩টে থেকেই। প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ের ক্ষেত্রে পূর্ণমান ৩৫। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে পূর্ণমান হচ্ছে ৪০।

এ বছরের একাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬৫ হাজারের মতো। ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬০ হাজারের মতো। গত বছর ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল। এ বছর আরও পাঁচটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হল, কৃত্রিম মেধা, ডেটা সায়েন্স, অ্যাপ্লিকেশনস অফ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সায়েন্স অফ ওয়েলবিইয়িং এবং সাইবার সিকিউরিটি।

এ ছাড়া, ভোকেশনাল কাউন্সিলের তরফ থেকে আগে ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হত। এ বছর তালিকায় আর‌ও তিনটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। তবে সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে গুজরাতি ভাষা।

সব মিলিয়ে ৬৭টি বিষয় পড়ানো হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। যার মধ্যে বৃত্তিমূলক বিষয় রয়েছে ১৬টি এবং ৫১টি শিক্ষা সংসদ অনুমোদিত বিষয়।

Advertisement
আরও পড়ুন