স্বীকৃত ও কনস্টিটুয়েন্ট কলেজগুলিকে স্বশাসনের অনুমতি দিল ইউজিসি সংগৃহীত ছবি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি)-র সংশোধিত নির্দেশিকাটি অনুমোদন করেছে। ২০২০-এর এই নির্দেশিকায় এনইপি স্বীকৃত ও কনস্টিটুয়েন্ট কলেজগুলিকে স্বশাসনের অধিকারের কথা সুপারিশ করেছিল এবং সেই নির্দেশিকাকেই অনুমোদন জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি'র চেয়ারপারসন জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ইউজিসির অনুমোদিত খসড়াটি জনসমক্ষে আনা হবে অংশীদারদের সুবিধার্থে। এই ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে কলেজগুলিকে দ্রুত স্বশাসনের অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয় এবং কলেজগুলিকে ন্যাকের রেটিংও দেওয়া যায় । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এখন বিভিন্ন কলেজের সমস্ত স্বশাসনের আবেদনগুলি প্রথমে বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা কলেজ পরিদর্শনের মাধ্যমে যাচাই করা হয় । কিন্তু প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি চালু হলে, কলেজ পরিদর্শনের আর প্রয়োজন হবে না।
খসড়ার প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে ইউজিসির একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি কলেজগুলির স্বশাসনের আবেদনগুলি খতিয়ে দেখবে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর পর কলেজগুলির আবেদনে সম্মতি জানিয়ে বা আবেদন খারিজ করে তাদেরকে চিঠি পাঠানো হবে। এই বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
বর্তমানে স্বশাসনের মর্যাদাটি ১০ বছরের জন্য অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ইউজিসির অনুমোদিত প্রস্তাবনাটি কার্যকর হলে ন্যাকের দ্বারা 'এ' শংসাপত্রপ্রাপ্ত কলেজগুলিকে আরও ১০ বছরের স্বশাসনের অনুমোদন দেওয়া হবে। পরিবর্তিত প্রস্তাবনাটি স্বীকৃত হলে যে কলেজগুলি স্বশাসিত হিসাবে ১৫ বছর ধরে রয়েছে, সেগুলি স্থায়ী ভাবে স্বশাসিত হিসাবেই বিবেচিত হবে। এই কলেজগুলি যদি ন্যাক বা এনবিএ-তে নিজেদের ভাল রেটিং ধরে রাখতে পারে, তাহলে তাদের আর স্বশাসিত মর্যাদাকে দীর্ঘায়িত করার আবেদন জানাতে হবে না।
জগদীশ কুমার আরও জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবিত বিধিগুলি চালু হলে স্বশাসিত কলেজগুলিও নতুন কোর্স বা পাঠ্যসূচি চালু করার ক্ষেত্রে, স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী কোর্সগুলির পুনর্নির্মাণ করার ক্ষেত্রে, কোর্সগুলি দক্ষতাভিত্তিক ও বৃত্তিভিত্তিক করে তুলতে অনেকখানি স্বাধীনতা পাবে। এ ছাড়াও, স্বশাসিত কলেজগুলি ভর্তির ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়মনীতি চালু করতে ও পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম নতুন উপায়ও স্বাধীন ভাবে চালু করতে পারবে।