Global Teacher Prize 2023

‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’-এর জন্য মনোনীত পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দুই শিক্ষক

সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, এ বছর বিশ্বের ১৩০টি দেশের ৭০০০ আবেদনকারীর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের দুই রাজ্যের দুই শিক্ষক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৭
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

চলতি বছরের ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’-এর জন্য প্রথম ৫০ -এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দুই স্কুল শিক্ষক। ভারকে ফাউন্ডেশন নামক সেবা প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরষ্কারের আয়োজন করছে। যার সঙ্গে সহযোগিতা করছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জনহিতকর সংস্থা দুবাই কেয়ারস। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, এ বছর বিশ্বের ১৩০টি দেশের ৭০০০ আবেদনকারীর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের দুই রাজ্যের দুই শিক্ষক।

Advertisement

পুরস্কারটি শুধু মাত্র প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠদানকারী শিক্ষকদের জন্যই। আসানসোলের প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক দীপনারায়ণ নায়ক রাজ্য থেকে এ বার প্রথম ৫০-এর তালিকায়। তিনি শিক্ষকতা করেন জামুরিয়ার তিলক মাঝি আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে। অভিনব পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে সমাজের বঞ্চিত পড়ুয়াদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি জানাতেই এই পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে।

সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’-এর তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অতিমারির সময়ে দীপনারায়ণ বাড়ির কাদামাটির দেওয়ালকে ব্ল্যাকবোর্ড এবং রাস্তাকে ক্লাসরুম বানিয়েই প্রান্তিক পড়ুয়াদের পাঠদান করে গিয়েছেন। দেশে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’-এর জন্য প্রান্তিক পড়ুয়ারা যাতে অন্যদের থেকে পিছিয়ে না পড়ে, তার জন্যও উদ্যোগী হয়েছেন দীপনারায়ণ। এমনকি পড়ুয়াদের বাবা-মাকে শিক্ষিত করে, কুসংস্কার দূর করে এবং শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সমস্যা দূর করে পড়ুয়া এবং গোটা সম্প্রদায়ের উন্নতিসাধনের চেষ্টা করেছেন। তাঁর ‘রাস্তার মাস্টার’ প্রকল্পটি শুধু পড়ুয়াদের শিক্ষাদীক্ষা নয়, কোভিড পরবর্তী সময়ে অপুষ্টি, শিশুদের শোষণ, পরিবেশগত স্থায়িত্ব-সহ নানা সামাজিক বিষয় নিয়ে নানাবিধ কাজ করেছে।

একই ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার জেডপিএইচএস ইলাভারাম স্কুলের শিক্ষক হরিকৃষ্ণ পাতাচারুও তাঁর অবদানের জন্য এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ইংরেজির শিক্ষক হয়ে পড়ুয়াদের ভাষা সংক্রান্ত সমস্যা অতিক্রম করে তাদের জীবন সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যেই তিনি কাজ করেন। বিভিন্ন ‘ক্রসকালচারাল সেশন’ দ্বারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস করিয়ে তিনি তাঁর ক্লাসরুমে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসেন। যা পড়ুয়াদের নির্দ্বিধায় ইংরেজি ভাষায় নিজেদের ভাবপ্রকাশের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। তবে শুধু ভাষাশিক্ষাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার ক্ষেত্রে নানা রকম সুযোগ সৃষ্টি করেছে তাঁর এই উদ্যোগ।

এই নিয়ে আট বছরে পা দিল ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’। শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য শিক্ষকদের স্বীকৃতি জানাতেই এই পুরস্কারের ভাবনা। প্রথম ৫০ জনের থেকে ১০ জনকে শীর্ষতালিকায় বাছাই করা হবে। এই ১০ জনের মধ্যে থেকেই চলতি বছরে এক জন এই পুরস্কার জিতে নেবেন। বিজয়ীর জন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্যও ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন