HS Topper 2024

মেধাতালিকায় জায়গা পেলেন যমজ বোন, উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে কোচবিহারের ছাত্রী

কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার এবং হুগলির স্নেহা ঘোষ যুগ্ম ভাবে জায়গা করে নিয়েছেন চতুর্থ স্থানে। আবার স্নেহার দিদি সোহাও এ বারের মেধাতালিকায় দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা ও হুগলি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৪ ১৮:৪০
HS Results 2024.

ফল ঘোষণা হতেই মুখের হাসি চওড়া হয়েছে যমজ বোনের। নিজস্ব চিত্র।

একই পরিবার থেকে দুই বোন উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। ২০২৪-এর পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হতেই জানা গেল, চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের দুই পড়ুয়া আদতে যমজ বোন। তবে নম্বরের নিরিখে ১ মিনিটের ছোট বোন স্নেহা ঘোষ ৪৯৩ পেয়ে চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রতীচী রায় তালুকদারের সঙ্গে। দিদি সোহা ঘোষের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে নাম ঘোষণা হওয়ার পর ঘোষ পরিবার আনন্দে আপ্লুত। দুই বোন একেবারেই আশা করেননি, মেধাতালিকায় জায়গা করে নেবেন তাঁরা। প্রথমেই স্নেহার নাম ঘোষণা হয়েছিল, সেটা শুনেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু দিদির নাম শোনার অপেক্ষায় ছিলেন কি স্নেহা? “আমি শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, দিদিও যেন মেধাতালিকায় থাকে। কারণ, আমরা একসঙ্গেই পড়াশোনা করি সব সময়। তাই যখন দিদির নাম বলল, তখন অনেক বেশি খুশি হয়েছি। আমাদের রেজ়াল্ট পেয়ে মা-বাবাও ভীষণ খুশি।” স্নেহা পড়াশোনার পাশাপাশি দাবা খেলতে বেশ পছন্দ করেন।

বোনের ইচ্ছে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার। দিদিরও একই ইচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, “মেয়েদের মধ্যে আমার বোন প্রথম হয়েছে, তাই সেটার আলাদা আনন্দ রয়েছে। ও আর আমি একসঙ্গে পড়াশোনা করে এসেছি, তাই কোনও প্রতিযোগিতা নিজেদের মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও থাকবে না।”

HS Results 2024.

কোচবিহারের প্রতীচী এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রতীচী রায় তালুকদার মেডিক্যাল নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে চান। পড়াশোনার জন্য বাড়তি চাপ দিতে নারাজ ছিলেন তাঁর শিক্ষক মা-বাবা। প্রতীচীর বাবা প্রণব রায় তালুকদার কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের রসায়নের শিক্ষক এবং মা ইংরেজির শিক্ষিকা। মেয়ের সাফল্যে খুশি প্রণব। তিনি বলেন, “মেয়ে সারা বছর পড়াশোনা করত, তাই পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকেই পড়ার সময় পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। ও এত ভাল নম্বর পেয়েছে, এটা ভীষণ ভাল লাগার বিষয়।”

আরও পড়ুন
Advertisement