প্রতীকী ছবি।
এ বার মাদ্রাসাতেও চালু হবে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। সম্প্রতি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, চলতি বছরেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হবে এই রিপোর্ট কার্ড।
মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আমরাও ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক মূল্যায়নের উপর জোর দিতে এই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড চালু করতে চলেছি। এই মূল্যায়নের ফলে পড়ুয়া-শিক্ষক উভয়ের উপকার হবে।’’এই হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডে মূল্যায়ন চালু করতে গেলে প্রয়োজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রশিক্ষণ। ইদের ছুটি মিটলেই এই প্রশিক্ষণ হাইব্রিড মোডে করানো হবে। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষক মহলের একাংশের আশঙ্কা, এত বড় একটি কাজ তাড়াহুড়ো করে করলে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। সেই বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত পর্ষদের।
পড়ুয়ার ব্যক্তিত্ব এবং দক্ষতা বিকাশের সার্বিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে চলতি বছরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও চালু করা হয়েছে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এবং জাতীয় শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়ে এই রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা হবে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড’।
শ্রেণিভিত্তিক নয়, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক অগ্রগতির রূপরেখা তৈরি হবে একটি রিপোর্ট কার্ডে। পুস্তিকা আকারে সেই রিপোর্ট কার্ড ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যে তিনটি পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে। সেখানে যেমন জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য থাকবে, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে কী ভাবে নিজেকে তুলে ধরছে, তা-ও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়াও থাকছে পড়ুয়ার নাম, ঠিকানা, আধার নম্বর, রক্তের গ্রুপ-সহ নানা তথ্য।
এ ছাড়াও, মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এত দিন মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হত। সেই টাকা আরও ৮০০ টাকা বৃদ্ধি করে মাসে ১৮০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের তরফে।