International Book Fair 2025

বাড়ির খুদেকে কী বই কিনে দেবেন? বইমেলার আগে পরামর্শ দিলেন ছোটদের ‘গল্পদিদা’

ছোটদের বইমেলা নিয়ে গিয়ে কোন বই কেনা ভাল, বা কী করণীয় তা নিয়েই লিখছেন ছোটদের ‘গল্প দিদা’ ওরফে গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের বাংলার প্রাক্তন শিক্ষিকা সুদেষ্ণা মৈত্র।

Advertisement
সুদেষ্ণা মৈত্র
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৫
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

চলতি বছর বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি, চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি। বইমেলা মানেই ছোট হোক কী বড় সকলের কাছেই আবেগ প্রকাশের ঠিকানা। নিজের পছন্দের দেশ-বিদেশের নানা বইয়ের সম্ভার বইমেলাতে। ছোটদের বইমেলা নিয়ে গিয়ে কোন বই কেনা ভাল, বা কী করণীয় তা নিয়েই লিখছেন ছোটদের ‘গল্প দিদা’ ওরফে গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের বাংলার প্রাক্তন শিক্ষিকা সুদেষ্ণা মৈত্র।

Advertisement

নতুন বছর শুরু হতেই এসে গেল কলকাতা বইমেলা। শীত আর বইমেলা কলকাতায় একসঙ্গে আসে। বাড়ির ছোটদের জন্য বই তো আমরা টুকটাক সারা বছরই কিনি। দোকানে গিয়ে কিনি, অনলাইনে কিনি। জন্মদিনেও উপহার পাওয়া যায়। কিন্তু তা দিয়ে বইমেলার স্বাদ মেটে না। বইমেলায় ঢুকলেই মনে হয় যেন এসে পড়লাম বইয়ের দেশে।

এমনিতে বলা হয় বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর কলকাতার বইমেলাকে ধরলে চোদ্দ পার্বন। সেই চতুর্দশ পার্বণ শুরু হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। বইমেলা বললে অবশ্য সবটা বলা হয় না। আসল নাম কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা। এই বইমেলা সারা পৃথিবীতে যতগুলি আন্তর্জাতিক বইমেলা হয় তার সঙ্গে যুক্ত। তাই কলকাতার বই পাড়ায় অর্থাৎ কলেজ স্ট্রিটে এখন ধুম লেগেছে। ব্যস্ততার শেষ নেই। অন্য দিকে আমরা বড় থেকে ছোট সকলেই অধীর আগ্রহে দিন গুনছি কবে শীতের রোদে মেলার মাঠে গিয়ে জড়ো হব।

গল্প বলা আমার কাজ। ছোটরা আমাকে ডাকে গল্পদিদা বলে। বইমেলায় ঢুকে কী কী করতে হবে তাই নিয়ে এখানে রইল কিছু পরামর্শ। পরামর্শ অবশ্য বড়দের জন্য। যাদের হাত ধরে ছোটরা ঢুকবে বইমেলার মাঠে।

প্রথম কথা হল, ছোটদের নিয়ে দুপুরবেলা বইমেলায় আসবেন। জলের বোতল নিতে ভুলবেন না। ছোটদের বই ঘাঁটতে দিন, বইয়ের গন্ধ শুঁকতে দিন। তাই বলছি, নিচের যে বইগুলি বাড়িতে নেই সেগুলি ছোটোদের কিনে দিতে পারেন

উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির গল্প’ ‘ছেলেদের রামায়ণ’। সুকুমার রায়ের ‘আবোলতাবোল, ‘খাই খাই’, এ ছাড়া সুকুমার রায়ের ‘হযবরল’ আর ‘পাগলাদাশু’ যেন পড়েই। সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’ আর ‘প্রফেসার শঙ্কু’ । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বুড়ো আংলা’, ‘ক্ষীরের পুতুল’। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর ছোটদের জন্য লেখা ‘মহাভারত’। মহাকাব্য ছোটবেলা থেকে জানতে হবে। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভোঁদড় বাহাদুর’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সে’, ‘শিশু ভোলানাথ’ ও ‘শিশু’ কাব্য গ্রন্থ। গিরীন্দ্রশেখর বসুর ‘লালকালো’ , ধীরেন বলের ‘তুতু ভুতু’, খগেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘ভোম্বল সর্দার’, জয়া মিত্রের ‘ভাল রাক্ষস’, ‘চার পাঁচজন বন্ধু’, জাপানি বইয়ের অনুবাদ ‘তোত্তোচান’, শিবরাম চক্রবর্তীর ‘হর্ষবর্ধন,-গোবর্ধন’, লীলা মজুদারের ‘হলদে পাখির পালক’, ‘বাতাস বাড়ি’, ‘সব ভুতুড়ে’, ‘টংলিং’, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ছোট-কিশোরদের বই, অন্নদাশঙ্কর রায়, শঙ্খ ঘোষের ছড়া, শক্তি চট্টোপাধায়ের ছড়া, বিশেষ করে ‘মিষ্টি কথায় বিষ্টিতে নয়’।

এর বাইরেও ছোটদের জন্য অনেক বই খুঁজে বের করা যায়। আমি এখানে শুধু বাংলা বইয়ের কথা বললাম। বইমেলা কিন্তু ছোটদের ইংরেজি বইয়েরও অফুরন্ত ভাণ্ডার।

Advertisement
আরও পড়ুন