প্রতীকী ছবি।
সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে কমন ল’ অ্যাডমিশন টেস্টের স্নাতকস্তরের পরীক্ষার নিয়মাবলি। সেই শর্তাবলি অনুযায়ী, প্রশ্নের সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনই পাঁচটি পূর্ব নির্ধারিত বিষয় থেকেই থাকবে প্রশ্ন, যাতে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। এ বার এই পরীক্ষাটি কী, প্রবেশিকা হিসেবে কেন গুরুত্বপূর্ণ, সেই সমস্ত বিষয় একটু জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
কী এই কমন ল’ অ্যাডমিশন টেস্ট?
সর্বভারতীয় স্তরে আইন নিয়ে যাঁরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের এই কমন ল’ অ্যাডমিশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতেই হয়। এই প্রবেশিকা পরীক্ষাটি সমস্ত কেন্দ্রীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে সাহায্য করে পড়ুয়াদের। এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করে কনসোরটিয়াম অফ ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি।
কী কী বিষয়ে পড়াশোনা করা দরকার?
স্নাতকস্তরে যাঁরা প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স-সহ জেনারেল নলেজ, লিগ্যাল রিজ়নিং, লজিক্যাল রিজ়নিং এবং কোয়ান্টিটেটিভ টেকনিকস্ বিষয়ে পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে।
যাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হলে সাংবিধানিক আইন, আইনশাস্ত্র, চুক্তি আইন, ফৌজদারি আইন-সহ আরও বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।
কাজের সুযোগ:
এই প্রবেশিকা পরীক্ষা শুধু কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগই দেয় না। পরবর্তীতে পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও ক্ল্যাট-এর ফলাফল যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে। সর্বভারতীয় স্তরে এই পরীক্ষা যেহেতু অন্যতম গুরুত্বপূর্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত, তাই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এবং কেন্দ্রপুষ্ট সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার ফলাফল বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের।
কোন কোন পদে কাজ মিলতে পারে?
আইনজীবী, আইন পরামর্শদাতা, আইন গবেষক এবং শিক্ষাবিদ, এই সমস্ত পদে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করার পরই প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করলে মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ন সংস্থাতেও প্রকল্পের আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
তাই এই প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে শিক্ষার্থীদের। যেহেতু বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত এই বিষয়টি, তাই ভবিষ্যতে কাজ করার ক্ষেত্রে যথাযথ জ্ঞান এবং আগ্রহ থাকা দরকার। বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোচিং করানো হয়ে থাকে, শুধুমাত্র এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বাড়তি সুযোগ পেতে পারেন ভালো ফলাফল করার জন্য।