বাংলা পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জানাচ্ছেন যোধপুর পার্কের বাংলা শিক্ষক। প্রতীকী ছবি।
হাতে আর ২৪ ঘণ্টাও নেই। মঙ্গলবার থেকেই শুরু জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা এবং স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক। প্রথম দিন রয়েছে বাংলা পরীক্ষা। পরীক্ষা সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে চলবে আগামী দুপুর ১টা ১৫মিনিট পর্যন্ত। শেষ মুহূর্তে বাংলার কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ টপিক ভাল ভাবে দেখে নেওয়া প্রয়োজন, প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় কোন কোন জিনিস মাথায় রাখা উচিত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের বাংলা-র শিক্ষক প্রিয়তোষ বসু।
প্রশ্নের ধরন: এই বছর উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের ধরনেও। প্রথমবার একটি প্রশ্নপত্র এবং একটি উত্তরপত্রে পরীক্ষা দেবেন পরীক্ষার্থীরা। উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকছে এমসিকিউ-য়ের উত্তর লেখার নির্ধারিত জায়গা এবং পরবর্তী দু’টি পৃষ্ঠায় লিখতে হবে এসএকিউ-এর উত্তর। এসএকিউ-এর ক্ষেত্রে উত্তর দিতে হবে অতি সংক্ষিপ্তভাবে এক বা দুই লাইনে। এর বেশি লেখা চলবে না। উত্তর দিতে হবে নির্দিষ্ট বাক্সে।
সময় মেপে পরীক্ষা: পরীক্ষা দেওয়ার সময় সহজ প্রশ্নের উত্তর আগেই লিখে ফেলতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, রচনার মতো বড় লেখার পেছনে যাতে বেশি সময় না চলে যায়। যে প্রশ্নে বেশি ভাগ বা বিভাজন থাকবে, সেগুলির উত্তর করলে বেশি নম্বর তোলা সম্ভব।
গুরুত্ব যেখানে: গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র পর্যবেক্ষণের পরে ২০২৩ এর উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র নিয়ে কিছু ধারণা করা যেতে পারে। যদিও সেটা সম্পূর্ণ ধারণাই। গল্প এবং কবিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যথাক্রমে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ এবং জীবনানন্দ দাসের ‘শিকার’। পড়ুয়াদের বরাবরই ভয়ের জায়গা ‘আমার বাংলা’ সহায়ক পাঠটি। এর মধ্যে এ বারের পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ‘কলের কলকাতা’, ‘ছাতির বদলে হাতি’ এবং ‘হাত বাড়াও’। একই ভাবে, আরও একটি জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের ভীতি কাজ করে, সেটি হল ‘শিল্প সংস্কৃতি’। এর মধ্যে ‘গানের ইতিহাস’-এ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে-সলিল চৌধুরী, কবিগান, অতুলপ্রসাদ, নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভাষাতত্ত্বের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে শব্দার্থতত্ত্ব এবং রূপতত্ত্ব। এ ছাড়া, নাটকের ক্ষেত্রে যে হেতু বিকল্প দেওয়া হয়, তাই যে কোনও একটি নাটক গুরুত্ব দিয়ে পড়াটাই পরীক্ষার্থীদের জন্য বাঞ্ছনীয়।
প্রতি ক্ষেত্রেই মনে রাখতে হবে, পরীক্ষার উত্তর হতে হবে বিষয়মুখী বা পাঠ্যগ্রন্থ নির্ভর।