চাকরির ইন্টারভিউ। প্রতীকী ছবি।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় ভাল নম্বর, কাজেরও কমবেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে, চাকরির প্রচুর ইন্টারভিউ দিচ্ছেন অথচ চাকরি হয়েও যেন হচ্ছে না! এমন পরিস্থিতি প্রায়শই অনেকের হয়ে থাকে। কিন্তু কেন? সব দিক ঠিক থাকলেও ভুলটা কোথায় হচ্ছে?
অনেক সময়ই ইন্টারভিউতে করা সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে না দিতে পারায় দূরে চলে যায় চাকরির অফার লেটার। যিনি ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, তাঁর কথা বলার ভঙ্গিমা থেকেই বেরিয়ে আসে সমস্ত উত্তর।
বেশির ভাগ ইন্টারভিউতে প্রথমেই খুব সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ‘নিজের সমন্ধে কিছু বলা’। এই পর্বে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন বা আগে কী কী করেছেন, সেই সব কিছু নিয়ে কথা বলতে থাকেন। কিন্তু, এখানে এই কথার পরিবর্তে অন্য কিছু বলেও ইন্টারভিউয়ের শুরুটাই আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
সংস্থার পাশাপাশি যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাঁকে ধন্যবাদ জানানো যেতে পারে। পাশাপাশি, চাকরির ইন্টারভিউতে কাজ সংক্রান্ত বিষয়েই বেশি করে বলা ভাল। যেমন, যে পদের জন্য চাকরির ইন্টারভিউ চলছে সেই পদে প্রার্থী কতটা মানানসই, সেই সংক্রান্ত কী কী কাজ তাঁর জানা রয়েছে, না থাকলে জানার আগ্রহ কতটা রয়েছে, সংস্থার বিষয়েও তিনি কতখানি জানেন ইত্যাদি। যাতে, যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাঁর কাছে প্রার্থী সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিলে আলাদা ভাবে বলতে হয় না প্রার্থী যথেষ্ট আত্মসচেতন। যদি কোনও প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকে, সেই সময়ও কথা বলার বিশেষ কিছু কৌশল সাহায্য করতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখা, চিন্তিত না হয়ে পড়াই শ্রেয়। প্রশ্নটি করার জন্য ধন্যবাদ জানানো যেতে পারে। তার পর গুছিয়ে বলা যায়, এই ধরনের প্রসঙ্গের সঙ্গে পরিচিতি সেই অর্থে নেই। তাই, এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করে এই বিষয়গুলিকে আরও ভাল করে তোলা যায়।
যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাঁর কাছে প্রার্থীর কিছু জিজ্ঞাস্য রয়েছে কি না, শেষে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। এমন সময়, কী প্রশ্ন করা যায় এই ভেবে সময় নষ্ট হয়ে যায়। এর থেকে ইন্টারভিউ চলতে চলতেই জিজ্ঞাস্য বিষয়গুলি পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। এতে ইন্টারভিউ কোনও একতরফা বিষয় হয়ে থাকে না।