প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর) এবং পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস)-তে তৎকাল পরিষেবা পেতে চলেছে পরীক্ষার্থীরা। সূত্রের খবর, পিপিআর এবং পিপিএস নিয়ে বুধবার, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে প্রধান পরীক্ষকদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন অন্যান্য সর্বভারতীয় পরীক্ষাও হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বিগত বছর পর্যন্ত যখন পিপিআর এবং পিপিএস-র জন্য আবেদন করত, ফলপ্রকাশে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যেত। এই দীর্ঘ সময়ের জন্য সমস্যায় পড়তে হত পরীক্ষার্থীদের। তাই, নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষার্থীদের পিপিআর বা পিপিএস-র জন্য আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এটা একটা ভাল পদক্ষেপ। দ্রুত ফলাফল জানতে পারবেন পড়ুয়ারা। তার ফলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও বাঁধা থাকবে না।’’
মূলত, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় সর্বভারতীয় স্তরের জয়েন্ট এন্টান্স, নিট-সহ আরও অন্যান্য পরীক্ষা। এই পরীক্ষাগুলিতে শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি, কলেজে ভর্তির জন্যও প্রয়োজন উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর। তাই যাতে পরীক্ষার্থীদের স্ক্রুটিনি বা রিভিউয়ে কোনও সমস্যা না হয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এই বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন ‘অত্যন্ত সদর্থক একটা পদক্ষেপ। কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে নম্বরের গুরুত্ব অনেক বেশি।’’
সূত্রের খবর, যে সমস্ত পরীক্ষক পিপিআর এবং পিপিএস-র সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করতে চলেছে সংসদ।