প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর দিনই প্রকাশিত হল হাই-মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৩ দিনের মাথায় রেজ়াল্ট প্রকাশ করা হল। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ সল্টলেকের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবন থেকে সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি শেখ আবু তাহের কামরুদ্দীন এবং অন্যান্য আধিকারিকরাও।
মোট ১২৭ জন ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল, যারা প্রত্যেকেই পাশ করেছে। তারা উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ - চারটি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সব মিলিয়ে মেধাতালিকায় নাম রয়েছে ৪২ জন পরীক্ষার্থীর।
পরীক্ষা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা:
পাশের হার কত?
সমস্ত জেলা মিলিয়ে পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে কোচবিহার (১০০ শতাংশ)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে দক্ষিণ দিনাজপুর (৯৮.৮৯ শতাংশ) উত্তর ২৪ পরগনা (৯৮.৬৬ শতাংশ)। এ বারের পরীক্ষায় সার্বিক ভাবে ৬১.৪৮ শতাংশ ছাত্রী এবং ৩৮.৫২ শতাংশ ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিলে পড়ুয়াদের পাশের হার যথাক্রমে ৮৯.৯৭ শতাংশ, ৯২.১৭ শতাংশ এবং ৯২.৮৯ শতাংশ। তিনটি পরীক্ষা মিলিয়ে ৯০.৬৫ শতাংশ, ২০২৩-এ এই হার ছিল ৮৮.৯০ শতাংশ।
কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে দেখা যাবে রেজ়াল্ট?
www.wbbme.org, www.wbresults.nic.in কিংবা www.exametc.com - পরীক্ষার্থীরা উল্লিখিত ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল দেখে নিতে পারবেন।
এক নজরে ২০২৪-এর পরীক্ষার খুঁটিনাটি:
মাধ্যমিকের মতো ২০২৪-এর হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন। পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় বেলা ৯ টা ৪৫ নাগাদ।পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১০টায়, শেষ হয় বেলা ১টা নাগাদ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১ ফেব্রুয়ারি। সমস্ত পরীক্ষাই শেষ হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত, হাই মাদ্রাসা এবং আলিম দশম শ্রেণি এবং ফাজিল দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা। এ বছরের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল পরীক্ষা দিয়েছে ৬০ হাজার ০৪১ জন, যাদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২৪-এ পরীক্ষার্থী বেড়েছে ন’হাজার ২৯৮ জন (১৭.৩৬ শতাংশ)