বিশেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং দিবস হিসাবে ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটিতে দেশের কৃতী ইঞ্জিনিয়ারদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। শুক্রবার এই দিনটি উপলক্ষে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়ামস অধীনস্থ বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের তরফে নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিল বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ারাও। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে বিজ্ঞানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক কী ভাবে গড়ে উঠেছে, তা জানানোই মূল উদ্দেশ্যে ছিল আয়োজকদের।
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ ছাড়াও, ‘নিউক্লিয়ার অ্যাচিভমেন্টস অফ ইন্ডিয়া’ সম্পর্কিত সিনেমা প্রদর্শন এবং ওপেন হাউস ক্যুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়ুয়াদের বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত বিষয়ে সচতেনতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেছিল সালকিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ১১৪ জন এবং গোপীনাথপুর হাই স্কুলের ১৩০ জন পড়ুয়া। প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রথম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও টেকনিক্যাল মিউজিয়াম হিসাবে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সহবস্থান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নিরন্তন প্রয়াস করে চলেছে। ভবিষ্যতেও এই বিষয়টি নিয়ে আরও কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকবে। বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের কাছেও আজকের দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।’’
জাতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং দিবসে বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহাবস্থান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করতে পেরে খুশি পড়ুয়ারাও। আগামী দিনেও এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বহু পড়ুয়াই।
প্রসঙ্গত, ১৮৬১ সালে কর্নাটকের এক প্রত্যন্ত জেলায় এম. বিশ্বেশ্বরাইয়ার জন্ম নিয়েছিলেন। পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম হওয়া এই ছাত্রের বদান্যতায় পরবর্তীকালে হায়দরাবাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বা মাইসুরুর রাজা কৃষ্ণসাগর বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল। এ ছাড়াও এশিয়ার সর্ববৃহৎ জল সরবরাহ কেন্দ্রটিরও প্রযুক্তিগত কারিগর ছিলেন তিনি। তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেই এই দিনটি দেশজুড়ে পালন করা হয়ে থাকে।