প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্নদের জন্য সুখবর! রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমন শিক্ষার্থীদের পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই মর্মে একটি সবিস্তার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সসের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী পড়ুয়ারা অনলাইনে রিসার্চ অ্যাপটিটিউড টেস্ট-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই কেবল মাত্র পরবর্তীতে হেলথ সায়েন্সেস বিষয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন।
এই বিষয়টি নিয়ে পিএইচডি করার জন্য বেসিক সায়েন্সেস, মেডিক্যাল সায়েন্সেস, ডেন্টাল সায়েন্সেস, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল কিংবা সমতুল্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর থাকা বাধ্যামূলক। এ ক্ষেত্রে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কিংবা কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট), গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট)-এর মত সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা উল্লিখিত বিষয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন না।
সর্বনিম্ন তিন বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য হেলথ সায়েন্সেস বিষয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। পিএইচডি-র জন্য গবেষণা চলাকালীন রিসার্চ সুপারভাইজ়ার এবং কো-সুপারভাইজ়ারের অধীনে কাজ করার সুযোগ মিলবে। ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের যে রিসার্চ অ্যাপটিটিউড টেস্টটি দিতে হবে, তার পূর্ণমান হল ১০০। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রশ্ন রিসার্চ মেথডোলজি নিয়ে থাকবে, এবং বাকি ৫০ শতাংশ বিশেষ বিষয় থেকে, যা নিয়ে শিক্ষার্থী গবেষণা করতে চান। মোট দেড় ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে।
আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, ৩,০০০ টাকা আবেদনমূল্য হিসাবে জমা করতে হবে। ১৫ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের পোর্টাল চালু রাখা হবে। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির প্রতিলিপিও পাঠাতে হবে। প্রার্থী বাছাই করার সময় ওই নথিগুলি সঙ্গে রাখতে হবে। এই বিষয়ে বিশদে জেনে নিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সসের ওয়েবসাইটটি দেখে নিতে হবে।