Fraud

সম্পাদক সমীপেষু: অসাধু গৃহনির্মাতা

প্রকল্পের বুকিং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এবং এখনও পর্যন্ত প্রকল্পটি জোরকদমে বানানোর কোনও সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৪
Representational picture of house.

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার বুকে বসে অসাধু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি প্রোমোটার সংস্থা। সোনারপুরের একটি অঞ্চলে তাদের এক দশকেরও বেশি আগে নির্মিত আবাসন নিয়ে অভিযোগের অভাব নেই। কয়েকটি পরিবার এখন সেখানে বাস করে। তবে বহু ফ্ল্যাটই এখনও বিক্রি হয়নি এবং অনেক দিন থেকেই ভগ্নদশা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশেই আর একটি দেড়শো ফ্ল্যাটের বিলাসবহুল প্রকল্প বিক্রির জন্য তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে।

প্রকল্পের বুকিং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এবং এখনও পর্যন্ত প্রকল্পটি জোরকদমে বানানোর কোনও সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। সাত বছরের বেশি পেরিয়ে যাওয়ার পরে, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে তাদের লেটারহেডে প্রেরকের নামহীন একটি চিঠি পাই। সেখানে বলা হয়, ডব্লিউবিহিরা-র আদেশে তারা তাদের ওই সব একই ফ্ল্যাটের ‘সেলেবল এরিয়া’ বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এবং ইতিমধ্যে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমার ফ্ল্যাটের দাম আরও তিন লক্ষটাকার উপরে বেড়ে গিয়েছে। আমাকে সেই বর্ধিত পূর্ণ মূল্যের চল্লিশ শতাংশ অর্থ অবিলম্বে পাঠাতে বলা হয়। এ দিকে সাইটের অগ্রগতির তখনও তথৈবচ অবস্থা।

Advertisement

আমি উত্তর পাঠাই যে, তাদের এই সব অন্যায় কাজকর্মের জন্য আমার তাদের উপর বিশ্বাস সম্পূর্ণ চলে গিয়েছে। তাই আমার গচ্ছিত টাকা সুদ-সহ ফেরত চাই অবিলম্বে। তারা টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে ব্যাঙ্কের তথ্যাদি পাঠাতে বলে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা সেই টাকা না ফেরত দিয়েছে, না আমার ফোনের কোনও জবাব দিচ্ছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলিতে ইচ্ছুক ক্রেতাদের সতর্ক করতেই আমার এই পত্রের অবতারণা।

অর্ণব চন্দ্র, কলকাতা-৬৪

স্বাস্থ্যসাথী নয়

আমার স্ত্রী-র একটা ছোট অপারেশন হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ওর রাজ্য সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। কিন্তু এলাকার বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং হোমে খবর নিতে গিয়ে জানতে পারলাম যে, ওরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করে না। মুখ্যমন্ত্রীর বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আমরা, সাধারণ নাগরিকরা, কোথায় যাব?

তাপস ভট্টাচার্য, ব্যান্ডেল, হুগলি

হাম্পের ঝক্কি

উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার প্রতিটি রাস্তায় অজস্র হাম্প। রাস্তা নির্মাণের সময় নাগরিকরা নিজেদের প্রয়োজন মতো স্থানীয় কাউন্সিলর অথবা কন্ট্র্যাকটরকে বলে অথবা নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে যে যার বাড়ি বা দোকানের সামনে হাম্প তৈরি করে নেন। কিন্তু কোনও হাম্পই নির্মাণ প্রযুক্তির নিয়ম অনুযায়ী হয়নি। ফলে যে হাম্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তৈরি করা হয়েছিল, সেই হাম্পই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলে পাড়া থেকে উলুবেড়িয়া শহরের সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী রাস্তাটি এখন স্থানীয় মানুষের মুখে ‘বাইশ হাম্প সরণি’ নামে পরিচিত। অসংখ্য হাম্প থাকায় প্রায়শই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। পুরসভার কাছে আবেদন, সমগ্র এলাকায় একটি ‘হাম্প শুমারি’ করা হোক। অপ্রয়োজনীয় হাম্প তুলে দিয়ে প্রয়োজনীয় হাম্পগুলিকে নিয়মমতো গড়ে তুলে সাদা রং করা হোক। হাম্পগুলিকে রং করে দেওয়াটাও নির্মাণকারী সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

অজয় দাস, উলুবেড়িয়া, হাওড়া

আয়া সমস্যা

কিছু দিন আগে নীলরতন হাসপাতালে আমার পরিবারের এক জন ব্রেন স্ট্রোক নিয়ে ভর্তি হন। তাঁকে পরিচর্যার জন্য দু’জন পুরুষ আয়া নিয়োগ করা হয়। প্রতি আয়ার ছ’ঘণ্টা কাজের জন্য খরচ পড়ে ৭০০ টাকা করে। কিন্তু পরে লক্ষ করলাম, এক জন আয়া একাধিক রোগীর দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। রোগীর বেডের পাশে তাঁর থাকার প্রয়োজন হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা এঁদের পাত্তা পাওয়া যায় না। বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভাল চিকিৎসার জন্য এই সমস্ত হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সেখানে যদি এমন অব্যবস্থার মধ্যে তাঁদের পড়তে হয়, তা হলে তাঁরা রোগীকে ভাল করবেন কী ভাবে? হাসপাতালের পরিচালন কমিটি যদি নিয়ম করে দেয় যে, এক জন আয়া সর্বাধিক দুই থেকে তিন জন রোগীর সেবা-শুশ্রূষা করতে পারবেন, তা হলে সাধারণ মানুষের সরকারি হাসপাতালের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।

সুদীপ্ত দে, কলকাতা-১০২

অঙ্গনওয়াড়ি

পাড়াভিত্তিক গড়ে ওঠা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ক্লাব বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও নোটিস ছাড়াই স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আর সরকারি সার্কুলার বা নোটিস ছাড়াই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে প্রতি দিনই মতবিরোধ, ঝগড়াঝাঁটি চলছে।

এ ছাড়াও গ্রামের কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চার-পাঁচটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে যুক্ত করায় চরমতম অব্যবস্থার শিকার হয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে শুরু করে শিশু ও প্রসূতি মায়েরা। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, কিছু দরদি স্কুল শিক্ষক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্যঘর দিচ্ছেন। কিন্তু সেখানে খাদ্যসামগ্রী মজুত তথা পরিচ্ছন্ন ভাবে সুষম খাদ্য তৈরি ও বিতরণ করার কাজটি কঠিন।

প্রসূতি মা, অন্তঃসত্ত্বা ও ছোট শিশুরা পুষ্টিকর খাবারের জন্য রোজ পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির হয়। কিন্তু তাদের পক্ষে গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে যাওয়াটা কতটা সম্ভব, সে প্রশ্ন রয়ে যায়। পরিশেষে জানতে চাই, কেন এই সকল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কোনও সার্কুলার বা নোটিসের মাধ্যমে না এসে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজের মাধ্যমে জারি করা হয়? তবে কি দেশে অপুষ্টি, প্রসূতিমৃত্যু, শিশুমৃত্যু— এগুলো গুরুত্ব হারিয়েছে?

নীলাঞ্জনা রায়, সাঁকরাইল, হাওড়া

পরিষ্কার সরোবর

দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দাদের কাছে রবীন্দ্র সরোবর একটি গর্বের জায়গা। এক টুকরো সবুজের খোঁজে এখানে অনেকেই আসেন। সকাল-সন্ধে স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা সরোবরে নিয়মিত হাঁটার উদ্দেশ্যে আসেন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত এখানকার রক্ষণাবেক্ষণ খুব ভাল ছিল। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হত সরোবরের সমগ্র এলাকা। কিন্তু এখন লক্ষ করছি, সরোবর কর্তৃপক্ষ যেন কিছুটা উদাসীন। গাছের পাতা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। লেকের জলে কোনও কোনও জায়গায় কচুরিপানার আস্তরণ।এক সময়ে এখানে নিয়মিত বোটিং হত। এখন হয় না। এক দিকে পড়ে আছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত প্যাডেল বোট। এই বোটগুলিকে ঠিকঠাক করে আবার সরোবরে বোটিং চালু করা যেতে পারে। এ ছাড়াও বসার অনেক বেঞ্চ ভেঙে গিয়েছে। সেগুলির আশু মেরামতি দরকার। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরের প্রতি একটু নজর দিন।

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-২৬

রাস্তা সারাই

হাওড়ায় এন এস রোড জলের পাইপ বসানোর জন্যে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দীর্ঘ দিন পড়ে আছে। যে কোনও যানবাহন চলাচল করলে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির কারণে যাত্রীদের অসুবিধা ও যানবাহনটি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই রাস্তা সারিয়ে নিত্য যাত্রীদের দুর্দশা দূর করুক।

পল্টু ভট্টাচার্য, রামরাজাতলা, হাওড়া

আরও পড়ুন
Advertisement