Calcutta University

সম্পাদক সমীপেষু: পরীক্ষার ফলপ্রকাশ

দুই সিমেস্টারের রেজ়াল্ট যদি সেপ্টেম্বরের মধ্যে না পাওয়া যায়, তা হলে এ বছরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ পাশ করা ছেলেমেয়েরা বি এড কলেজগুলিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৬:৩২
An image of result

—প্রতীকী চিত্র।

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও কিছু বিভাগে ওই সিমেস্টারের ফল প্রকাশ না করে জুলাই মাসে চতুর্থ তথা ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়ে গেল। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের ভীষণ রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। অন্য দিকে, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বি এড কলেজগুলিতে ভর্তির ফর্ম ফিল-আপ শেষ হয়ে যাবে।

Advertisement

দুই সিমেস্টারের রেজ়াল্ট যদি সেপ্টেম্বরের মধ্যে না পাওয়া যায়, তা হলে এ বছরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ পাশ করা ছেলেমেয়েরা সরকারি কিংবা আধা সরকারি বি এড কলেজগুলিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। কিংবা, অনেকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বেসরকারি কলেজগুলিতে ভর্তি হতে বাধ্য হবে। অনেককে আবার বি এড-এ ভর্তির জন্য পরের বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। অথচ, রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের ফলে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ফল যাতে সেপ্টেম্বরের আগে প্রকাশ করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অভিলাষ সুরাই, বিপ্রন্নপাড়া, হাওড়া

বিপজ্জনক

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার ৯৭ নম্বর ওয়র্ডের ২ ও ৩ নম্বর ওয়্যারলেস গেটের মাঝের রাস্তায় পিচ ঢালা হল। রাস্তার স্তর বেশ কিছুটা উঁচু হল। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ম্যানহোল কভারগুলির স্তরের কোনও পরিবর্তন করা হল না। এগুলি রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা নীচে থাকার ফলে গর্ত তৈরি করেছে। এতে দু’রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে— এক, যানবাহন চলাচল, বিশেষত রাতের বেলায়, বেশ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। দুই, গর্তের জমা জলে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর হচ্ছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা কি উদাসীন ছিলেন, না কি এই ব্যাপারে তাঁদের কোনও ধারণা নেই? স্থানীয় কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপের আশু প্রয়োজন। না হলে দুর্ঘটনা ও ডেঙ্গির কারণে স্থানীয় মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়বে।

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা-৪০

অপরিচ্ছন্ন

দমদম স্টেশন সংলগ্ন দমদম রোডের আন্ডারপাসটিতে সারা বছর জল জমে থাকে। ছাদ থেকে নোংরা জল চুইয়ে সাধারণ যাত্রী থেকে মোটরসাইকেল বা সাইকেল আরোহী, সবার মাথাতেই পড়ে। জলে ভরা গর্তে বাইক, গাড়ি পড়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

অন্য দিকে, পথচারীদের যাওয়ার জন্য যে আন্ডারপাসটি রয়েছে, যেটা দিয়ে দমদম মেট্রো স্টেশনে যাওয়া যায়, সেটির অনেকটা অংশও সারা বছর হকার এবং ভিখারিদের দখলে থাকে। ফলে মানুষের যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। শুধু তা-ই নয়, আন্ডারপাসটি এমনিতে খুব অপরিষ্কারও। নাগেরবাজারের দিক থেকে রোজ মেট্রো ধরার জন্য যাঁরা এই আন্ডারপাসের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁরা এখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে বিলক্ষণ পরিচিত।

রেল কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করেন।

দেবনারায়ণ দাঁ, কলকাতা-৩০

বেহাল ডাকঘর

বারাসত ডাক বিভাগের অন্তর্গত মছলন্দপুর উপ-ডাকঘরে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ফর্মের আকাল চলছে। টাকা জমা বা তোলা, গ্রাহকের বিস্তারিত পরিচয়জ্ঞাপক কেওয়াইসি ফর্ম, স্থায়ী আমানতে অ্যাকাউন্ট খুললে যে পাসবই গ্রাহক হাতে পান, এমনকি সেভিংস, রেকারিং ডিপোজ়িট বাবদ যে পাসবই দেওয়া হয়— কোনওটাই পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা জমা দিতে বা টাকা তোলার জন্য ফর্ম অথবা কেওয়াইসি ফর্ম আশপাশের সাইবার ক্যাফে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। গ্রাহকদের মধ্যে চেক বই ব্যবহারের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। কিন্তু, তা ফুরিয়ে গেলে নতুন চেক বই পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। যত দূর জানা গিয়েছে, মছলন্দপুর ডাকঘরের পক্ষ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ফর্মের বরাত পাঠানো হয়েছে একাধিক বার। তবুও, গ্রাহকরা ফর্ম, পাসবই-এর জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। কথায় কথায় উন্নত, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চকিত ঘোষণা শোনা যায়, অথচ প্রতি দিন সাধারণ ফর্ম, পাসবই জোগান দেওয়ার ক্ষমতাও কর্তৃপক্ষের নেই! কম্পিউটারে ইন্টারনেট লিঙ্ক প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এটিএম কার্ড এখনও আগ্রহী গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, এক দিকে কয়েক হাজার গ্রাহকের চরম ভোগান্তি, অন্য দিকে এই ডাকঘরের কর্মীদেরও নানা কটু কথা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ প্রতি দিন সহ্য করতে হচ্ছে। অনুরোধ, ডাক কর্মকর্তারা এই সব সমস্যার সমাধানে আশু পদক্ষেপ করুন।

দীপক ঘোষ, সাদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

বেদখল সড়ক

১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশের ফাঁকা জায়গা সবার চোখের সামনে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দোস্তিপুর থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত এলাকায়। এখানে পথচারীরা নিত্যনতুন গুমটির আবির্ভাব দেখতে অভ্যস্ত। রাতের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট জায়গা কিছু দিন পলিথিন দিয়ে ঘেরা থাকে। তার পর ধীরে ধীরে জিনিসপত্র রাখার ঘর গড়ে ওঠে, সেটাই শেষ পর্যন্ত দোকান বা মানুষের বসবাসের ঘর হয়ে দাঁড়ায়। এমনিতেই জাতীয় সড়কের দু’পাশের নয়ানজুলি বুজিয়ে বাড়িঘর, দোকান ও নার্সিংহোম হয়েছে। এতে জল নিকাশির ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে বেহাল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে যায়। নাগরিক জীবন হয়ে পড়ে বিপন্ন। ইদানীং পুরো জাতীয় সড়কটাই যেন গ্রাস করার উদ্যোগ চলছে। যানবাহন এমনিতেই ধীরে ধীরে চলে। রাস্তাটি ক্রমে সরু হয়ে যাওয়ার ফলে যাত্রী-সাধারণের ভোগান্তি দিন দিন আরও বাড়ছে। জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের জন্য মাঝে মাঝে মাপজোখ হয়। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে শেষ পর্যন্ত সেই সম্প্রসারণ হয় না।

ইদানীং ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ঢোকার পথে জাতীয় সড়কের পাশে ছোট ছোট গুমটি তৈরি হয়েছে। সদ্যোজাত শিশুর জামাকাপড় থেকে পান, সিগারেট ইত্যাদি বিক্রি হয় সেখানে। কিছু দিন আগে এক বার সমস্ত অস্থায়ী দোকান ভাঙা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সব ফিরে এসেছে। রাজনৈতিক নেতাদের সামনেই এই দখলদারি চলছে। প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা গাড়ি নিয়ে এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করলেও, গুমটিগুলি তাঁদের চোখে পড়ে না। জনগণ ও পরিবেশের স্বার্থে এই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে।

শ্রীবাস মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

সেতু মেরামত

পোলবা-দাদপুর ব্লকের মাকালপুর ও বাবনান পঞ্চায়েত এলাকার সংযোগকারী সেতু, যা ‘পটলডাঙার পুল’ নামে পরিচিত, কয়েক বছর ধরে ভগ্ন অবস্থায় বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এই সেতু দিয়ে কর্ড লাইনের পোড়াবাজার স্টেশন এবং দুর্গাপুর রোড থেকে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি দীর্ঘ দিন বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকায় পাশের একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে ভাঙা সেতু মেরামত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।

তাপস দাস, সিঙ্গুর, হুগলি

আরও পড়ুন
Advertisement