Chandannagar

সম্পাদক সমীপেষু: আলো নিবছে

গত বছর থেকেই এই উৎসব যেন শুধু নামেই রয়ে গিয়েছে। করোনাভাইরাস তো প্রথমেই সমাজকে আধমরা করে দিয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫২

বাতাসে শীত-শীত ভাব বুঝিয়ে দেয় হেমন্ত এসে গিয়েছে! হৈমন্তিকার আগমনীতেই হুগলি জেলার চন্দননগরের শ্রেষ্ঠ উৎসবের সূচনা। এ উৎসব আলোর, এ উৎসব রোশনাইয়ের। প্রথাগত ডিগ্রি ছাড়া শুধুমাত্র কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোর জাদু যাঁরা দেখান, তাঁরা সত্যিই এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন বহু দিন আগেই। কিন্তু আলোর শহরের আলোকশিল্পীদের মুখ অন্ধকার করোনার প্রকোপের জেরে। আলোর কাজ কম থাকায় সেই কাজের সঙ্গে জুড়ে থাকা মানুষরা বাধ্য হচ্ছেন অন্য পেশায় চলে যেতে।

গত বছর থেকেই এই উৎসব যেন শুধু নামেই রয়ে গিয়েছে। করোনাভাইরাস তো প্রথমেই সমাজকে আধমরা করে দিয়েছে। তা বলে কি আশার বাকিটুকুও শেষ হয়ে যাবে? আলোকশিল্পীদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইটাই তো তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াই। গত বছরের মতো এ বছরও আলোকশিল্পীরা তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি শুধুমাত্র কাজ না থাকার ফলে, অর্থের অভাবে। মানুষগুলো আজ লড়তে লড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন পরিস্থিতির জন্য। তাঁদের ভয় করোনা নামক ব্যাধির জন্য নয়। তাঁদের ভয়, তাঁরা যেন ভাতে না মারা যান। প্রশাসনকে অনুরোধ, যাতে প্রত্যেক আলোকশিল্পী তাঁদের শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হোক।

Advertisement

সুমি ভট্টাচার্য, চন্দননগর, হুগলি

মর্মান্তিক

‘বাজি-নিষ্ঠুরতায় পা হারাল কুকুর’ (৭-১১) শীর্ষক হৃদয়বিদারক সংবাদটি পড়ে ভীষণ ভাবে মর্মাহত হলাম। মানুষই মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, আবার সেই মানুষই কখনও কখনও অমানবিক দৃষ্টান্তও স্থাপন করে। তেমনই একটি অমানবিক ঘটনার দৃষ্টান্ত— আলোর উৎসবকালে কয়েক জন মানুষের আনন্দের বলি হতে হল একটি নিরপরাধ পথকুকুরকে। সংবাদে প্রকাশ, দীপাবলির দিন খড়্গপুর খরিদা ফাঁড়ি এলাকা থেকে একটি আহত পথকুকুরকে উদ্ধার করেন এলাকার কয়েক জন যুবক। কেউ বা কারা কুকুরটির পায়ে বা লেজে শব্দবাজি বেঁধে ফাটিয়েছে। তাদের নির্মম আনন্দের শিকার কুকুরটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। কুকুরটি হারিয়েছে লেজ। অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়েছে একটি পা। এক‌টি জনবহুল শহরের বুকে এমন নিষ্ঠুর ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন সকলে। মানুষ হিসাবে আমাদের মনে রাখা উচিত, আনন্দ যখন অন্যকে আঘাত করে তখন সেই আনন্দ অন্যায় হিসাবে গণ্য হয়। এই অন্যায় ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কঠোর শাস্তি চাই। পরিশেষে, সকল পশুপ্রেমীকে ধন্যবাদ জানাই আর আহত কুকুরটির দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।

সত্যকিঙ্কর প্রতিহার, যমুনা দেশড়া, বাঁকুড়া

ভোটার কার্ড

কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটার কার্ড সংশোধনের পোর্টালে এক বছর আগে ভোটার কার্ড সংশোধন করার পরেও অনেকের হাতে এখনও এসে পৌঁছয়নি সংশোধিত কার্ড। যার ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভোটার কার্ডে নাম ভুল থাকা ব্যক্তিরা। আধার কার্ডের ক্ষেত্রে যে ভাবে সংশোধনের কয়েক দিন পরেই কম্পিউটার থেকে সংশোধিত আধার কার্ড বার করা যায়, ভোটার কার্ড সে ভাবে বার হয় না। নভেম্বর মাসে আবার নতুন করে ভোটার কার্ড সংশোধনের কাজ চলছে। তাই কর্তৃপক্ষ যদি একটু সদয় হয়ে সংশোধনের পরেই ভোটার কার্ডে নাম ভুল থাকা ব্যক্তিদের সংশোধিত কার্ড পৌঁছে দেন, তা হলে তাঁরা উপকৃত হবেন।

মেহের সেখ, মহুগ্রাম পশ্চিম পাড়া, বীরভূম

পুরনো বোর্ড?

গত ২ নভেম্বর বিকেল চারটে দশের কলকাতা-লালগোলা স্পেশাল ট্রেনে বহরমপুর ফিরব বলে সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা স্টেশনে আসি। এসে শুনি এই লাইনের জালালখালি স্টেশনে সকাল থেকে অবরোধ চলায় এই ট্রেন সময়মতো ছাড়বে না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি সন্ধে সাতটা নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়ে। অধিকাংশ যাত্রীকে প্রায় ঘণ্টা তিনেকের বেশি স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। তার ফলে অনেককেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ১ নং প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত পুরুষ এবং মহিলাদের শৌচালয় ব্যবহার করতে হচ্ছিল। লক্ষ করছিলাম, যে সমস্ত যাত্রী শুধুমাত্র প্রস্রাব করার জন্য শৌচালয়টি ব্যবহার করতে যাচ্ছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে গেটের মুখে বসে থাকা দু’জন প্রহরী তিন টাকা করে নিচ্ছিলেন। অথচ, দরজার উপরে দেওয়ালে পরিষ্কার লেখা রয়েছে ‘ইউরিনাল ফ্রি’।

পাশেই ছিল চিৎপুর জিআরপি থানার ঘর। ওখানে কর্তব্যরত পুলিশের লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁদের সামনেই এই অনৈতিক কাজটি দিব্যি চলছিল। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে প্রহরীরা বলছিলেন, ওটা পুরনো বোর্ড।

সঞ্জয় কুমার মিশ্র, চিৎপুর, কলকাতা

ব্যবস্থা চাই

বর্তমানে বর্ধমানের মেমারি এলাকায় কর্মরত। অতিমারি পূর্ববর্তী সময়ে পুরুলিয়া থেকে বর্ধমানে যাওয়ার সরাসরি ট্রেন ছিল। এই ট্রেনটি লকডাউনের সময় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ট্রেনটি আসানসোল পর্যন্ত যায়। কিন্তু আসানসোল থেকে বর্ধমানে যাওয়ার সমস্ত লোকাল ট্রেন চালু হওয়া সত্ত্বেও যে হেতু এই ট্রেনটি বর্ধমান পর্যন্ত যাচ্ছে না, সে হেতু পুরুলিয়া থেকে বর্ধমানে যাওয়ার সরাসরি টিকিট দিতে টিকিট কাউন্টার থেকে অস্বীকার করছে। বেশির ভাগ সময়েই আসানসোলে নেমে টিকিট কেটে ট্রেন ধরা সম্ভব হয় না। এই সমস্যার শীঘ্রই সমাধানের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া

ভুয়ো খবর

বর্তমান বিশ্বের এক উদ্বেগজনক বিষয় হল বিভিন্ন প্রকারের মিথ্যা খবর যেমন, অবৈজ্ঞানিক বিজ্ঞাপন, গুজব, সুনাম নষ্টের জন্য ভুল তথ্য তৈরি করা প্রভৃতি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ যা কিছু দেখছে তার মধ্যে অনেকেই সচেতনতার অভাবে সেটাকেই ঠিক বলে ভেবে নিচ্ছে এবং সেই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছে। করোনা অতিমারি এবং লকডাউনের দিনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে আবার কোথাও বিভিন্ন ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসামূলক হানাহানি এবং প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও কুসংস্কারও। কী ভাবে ভুয়ো খবর নিয়ন্ত্রণে আনা যায়? নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জাল খবরের প্রচার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। তা হলেই মানুষকে ভুয়ো খবরের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

দীপঞ্জিৎ ঘোষ, কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর

সুরাহা হোক

আমার স্বামী প্রয়াত দিলীপ কুমার বসু পেনশন রিভিশনের জন্য গত ২০১৭ সালের মে মাসে দরখাস্ত জমা করেন। তাঁর মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল চিঠি মারফত বিকাশ ভবনের কলেজ পেনশন দফতরকে তা ফেরত পাঠান। তার পর বহু বার দফতরে যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যাতে এই প্রতীক্ষার অবসান হয়।

মীরা বসু, কলকাতা-৬০

আরও পড়ুন
Advertisement