Banking

সম্পাদক সমীপেষু: ছ’দিন খোলা থাক

ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের কাছে আবেদন, সপ্তাহে ছয় দিন ব্যাঙ্কের দরজা খোলা রাখা হোক। অনেক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে শনিবার ছুটি থাকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৩১

ব্যাঙ্কের কর্মচারী সংগঠনগুলি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস’ অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)-এর কাছে দীর্ঘ দিন দাবি করে আসছে, সপ্তাহে দুই দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখতে হবে। এখন এমনিতেই মাসে দুটো শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। তার উপর বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তাদের রাজ্যে বিশেষ বিশেষ উৎসবে, মহাপুরুষদের জন্মদিনে এনআই অ্যাক্ট-এ ছুটি ঘোষণা করছে। ব্যাঙ্ক এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষকে নিত্যদিনের দরকারে যেতেই হবে। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিষেবা পাচ্ছেন বলেই দিনের পর দিন তাঁরা ব্যাঙ্কমুখী হচ্ছেন। বর্তমানে এটিএম, নেট ব্যাঙ্কিং-এর পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে কর্মচারী সংগঠনগুলোকে। কলকাতা ও তার বাইরে যে সিংহভাগ গ্রাহক আছেন, তাঁদের কত জন এটিএম বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এর মতো প্রযুক্তি-নির্ভর পরিষেবা গ্রহণে অভ্যস্ত? ইউনিয়নগুলি আধ ঘণ্টা কাজের সময় বাড়াতে রাজি। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের সময় সকাল ৯টা ৪৫মিনিট থেকে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা চালু করার কথা সকাল দশটা থেকে। এক জন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মচারী হিসাবে বলতে পারি, এমন অনেক শাখা আছে শহরের বাইরে, যেখানে সাড়ে দশটার আগে ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টার খোলাই হয় না।

এ বার আসা যাক ব্যাঙ্কের এটিএম পরিষেবার কথায়। গ্রামবাংলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বহু এটিএম বসিয়েছেন, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই ওই কাউন্টার থেকে টাকা তোলা যায় না। অধিকাংশই অচল অবস্থায় থাকে। আর একটা বড় সমস্যা হল, ওই সব কাউন্টার থেকে ছোট অঙ্কের টাকা পাওয়া যায় না। সব সময়ই পাঁচশো আর দু’শো টাকার নোট। কিন্তু ব্যাঙ্কে গিয়ে অনুরোধ করলে ছোট অঙ্কের নোট পাওয়া যায়।

Advertisement

অতএব, ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের কাছে আবেদন, সপ্তাহে ছয় দিন ব্যাঙ্কের দরজা খোলা রাখা হোক। অনেক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে শনিবার ছুটি থাকে। ওই সব অফিসে কর্মরত মানুষেরা যে শনিবারগুলিতে ব্যাঙ্ক খোলা থাকে, সেই দিনে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম মিটিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চারটে শনিবারই ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে সেই সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন।

স্বপন কুমার আঢ্য, ভান্ডারহাটি, হুগলি

রাস্তা ‘পরিষ্কার’

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেটের কাছে এয়ারপোর্ট সিটি থেকে বিহার আবাসন পর্যন্ত কিছু দিন হল একটি সার্ভিস রোড তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি হওয়াতে আশপাশের এলাকার মানুষের খুবই সুবিধা হয়েছে। এই রাস্তা না থাকার জন্য আগে প্রাণ হাতে নিয়ে মানুষকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হত। এর ফলে বহু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তবে, বেশ কিছু সমস্যাও হচ্ছে। রাস্তায় কোনও আলো নেই। দু’ধারে অনেক গাড়ি পার্কিং করে রাখার ফলে রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে, বিশেষ করে একটু রাতের দিকে হিজড়াদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে এই রাস্তা। রাতে মানুষের, বিশেষত মহিলাদের পক্ষে ওখান দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে এই রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা হোক। গাড়ি যদি পার্কিং করতেই হয়, দু’দিকে না করে এক দিকে (বাঁ দিকে) করুক। এবং হিজড়াদের ওখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

জুয়ার কবলে

এখন বাংলার যে কোনও শহর বা গ্রামে চেয়ার ও টেবিল পেতে এক জন মানুষকে লটারির টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায়। তাঁকে ঘিরে থাকে আরও কয়েক জন। সম্ভবত দিনে তিন বার ড্র হয় এবং কেউ টিকিট কাটতে চাইলে, তাঁকে কমপক্ষে তিরিশ টাকার টিকিট (ছ’টাকার পাঁচটা টিকিট) কিনতে হয়।

ও দিকে ক্রিকেট নিয়েও রয়েছে জুয়া জাতীয় অ্যাপ। এগুলোর মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন খেলার দল গঠন ও ফল নিয়ে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন। এখানেও লটারির টিকিট কাটার মতো টাকা খরচ করতে হয়। কিছু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটার এ সবের বিজ্ঞাপনে অংশও নিচ্ছেন। এ ছাড়া তাস (রামি) খেলার বিজ্ঞাপনেও বাংলার নামী অভিনেতাদের দেখতে পাওয়া যায়। এই লটারি, ক্রিকেট জুয়া কিংবা অনলাইন রামি মানুষকে নিঃশব্দে সর্বস্বান্ত করছে। রাজ্য সরকারের কাছে বিনীত নিবেদন, অবিলম্বে এগুলি বন্ধের উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।

আশিস রায়চৌধুরী, পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লি, শিলিগুড়ি

আগাম নির্দেশ

সম্প্রতি আমার ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ স্টেট ব্যাঙ্কে জমা দিতে গিয়েছিলাম। গত বছর পর্যন্ত পূরণ করা নির্দিষ্ট ফর্ম ও ‘পেনশন পাসবুক’ নির্দিষ্ট কাউন্টারে দিলে কাজ হয়ে যেত। কিন্তু এ বছর হঠাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক আধিকারিক আধার কার্ড চাইলেন। না থাকায় আমার মতো অনেক পেনশনারকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হল। সব পেনশনারের ফোন নম্বর ব্যাঙ্কের কাছে থাকে। যদি আধার কার্ড বা অন্য কোনও নতুন প্রমাণপত্র লাগে, সেটা আগাম জানিয়ে দেওয়া যেত বা সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারত। তা হলে আমার মতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দূরদূরান্ত থেকে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অহেতুক ভুগতে হত না।

বলীন্দ্র বৈদ্য, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

ওজন কত?

গত কয়েক মাস ধরেই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে সরবরাহ করার সময় সেটা ওজন করে দিয়ে যাওয়া হয় না। এ বিষয়ে গ্যাস কোম্পানি নিযুক্ত ডেলিভারি বয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোম্পানির নামে অভিযোগ করেন। কোম্পানি তাঁদের উপযুক্ত সংখ্যক ওজন মাপার যন্ত্র না দেওয়ার ফলে তাঁরা নাকি ওজন মেপে দেখিয়ে দিয়ে যেতে পারেন না। অথচ, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে এই ব্যাপারে প্রচার করা হলেও গ্যাস কোম্পানিগুলো কেন সচেতন হবে না? গ্যাস সিলিন্ডারের দাম দিন দিন এমন বাড়ছে যে, আর কিছু দিন পরে তা নিম্ন মধ্যবিত্ত তো বটেই, সাধারণ মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে চলে যাবে। এত দাম দিয়ে কিনেও যদি ওজন মেপে দেখিয়ে না নেওয়া হয়, তবে গ্রাহকরা বুঝবেন কী করে সরকার-নির্দিষ্ট সিলিন্ডারের ওজন ঠিক আছে কি না?

ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য, চুঁচুড়া, হুগলি

স্টেশন চাই

হাওড়া আমতা রেলপথে বাঁকড়া নয়াবাজ ও কোনা রেল স্টেশনের মাঝে মাকড়দহ রোডের উপর বালটিকুরি রেল ব্রিজের সন্নিকটে একটি রেল স্টেশন নির্মাণ করা হোক। পূর্বে এই ব্রিজ সংলগ্ন জায়গায় এসে আমতা লোকাল দাঁড়াত, অনেক লোক ট্রেন থেকে নেমে কর্মস্থলে যেতেন, বা ট্রেনে উঠে কর্মস্থল থেকে ফিরতেন। বর্তমানে এখানে ট্রেন আর দাঁড়ায় না। স্টেশনটা হলে বাঁকড়া বাজার ও বালটিকুরি সংলগ্ন এলাকায় কর্মরত বা বসবাসকারী বহু মানুষ উপকৃত হবেন।

নির্মাল্য রায়, আমতা, হাওড়া

জটার দেউল

সুন্দরবনের রায়দিঘির ঐতিহাসিক স্থান জটার দেউল। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু রায়দিঘি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে জটার দেউল পৌঁছতে পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হয় রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার ঘটার আশঙ্কা থাকে। স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মানস সামন্ত, নন্দকুমার পুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

আরও পড়ুন
Advertisement