Sougata Roy

দিল্লি ডায়েরি: যন্ত্রণাকে হারিয়ে সংসদে সক্রিয় সৌগত রায়

প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধীর তরজা তুঙ্গে ওঠে। উঠে দাঁড়িয়ে সরকার পক্ষের যুক্তি খণ্ডন করতে দেখা যায় সৌগতকে।

Advertisement
অনমিত্র সেনগুপ্ত, প্রেমাংশু চৌধুরী
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫২

বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে হুইলচেয়ারে সংসদ ছেড়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। দু’ঘণ্টা হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফেরেন। পর দিন সকালেই সংসদে উপস্থিত সৌগত। প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধীর তরজা তুঙ্গে ওঠে। উঠে দাঁড়িয়ে সরকার পক্ষের যুক্তি খণ্ডন করতে দেখা যায় সৌগতকে। উত্তেজিত সৌগতকে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “প্রফেসর সাহেব, আপনি বসুন। নতুন করে শরীর খারাপ করবেন না। আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা হয়।” স্নেহমিশ্রিত পরামর্শে হেসে ফেলেন সৌগতও। সে যাত্রা রণে ক্ষান্ত দেন। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় মণিপুর-বিতর্কের জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পশ্চিমবঙ্গের সমালোচনায় সরব হলে, পাল্টা প্রতিবাদে লোকসভায় কল্যাণের পাশে একমাত্র উপস্থিত ছিলেন সেই বর্ষীয়ান সৌগতই।

Advertisement
কর্মচঞ্চল: হুইলচেয়ারে চেপেই বাজেট অধিবেশনে এলেন সৌগত রায়।

কর্মচঞ্চল: হুইলচেয়ারে চেপেই বাজেট অধিবেশনে এলেন সৌগত রায়।

ও কাদের চোখ?

রাহুল গান্ধী কোথাও গিয়ে অভিনব কিছু দেখলে, নতুন কিছু খেলে, সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়ঙ্কাকে ভিডিয়ো কল করেন। এমনই কোথাও গিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন রাহুল। খেয়াল করেননি, তাঁর পিছনে ভিড় করে অনেকে দাঁড়িয়ে। ভিড়ের চোখও রাহুলের মোবাইলের দিকেই। প্রিয়ঙ্কা বাড়িতে বিছানায় বসেছিলেন। ফোনে দেখেন, তাঁর দিকে রাহুলের সঙ্গে অপরিচিত জোড়া জোড়া চোখ তাকিয়ে রয়েছে। রাহুলকে পরে জোর বকুনি দিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, “তুমি এ সব কী করতে থাকো!” রাহুল গান্ধী নিজেই গুজরাতে গিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের সঙ্গে আড্ডায় এই গল্প শুনিয়েছেন। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালিত ক্যাফেতে তিনি বাজরা পিৎজ়া চেখে দেখেন। প্রথম বার বাজরা পিৎজ়া খাওয়ার আনন্দে বোনকে ফোন করেছিলেন। তখনই এই গল্প!

মুখ ঢেকে যায়...

মুখ দিয়ে যায় চেনা! কিন্তু মুখ যদি দাড়িতে ঢাকা থাকে? তা হলে মানুষ কেন, যন্ত্রের পক্ষেও চেনা মুশকিল! সংসদ ভবনের সমস্ত প্রবেশদ্বারে এখন ‘ফেস রেকগনিশন সিস্টেম’ বসেছে। সাংসদদের মুখ ক্যামেরার সামনে এলেই দরজা খুলে যাচ্ছে। তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের এখন মুখভর্তি ঘন দাড়ি। কারণ তাঁর রঘু ডাকাত ছবির শ্যুটিং চলছে। সংসদের যন্ত্র তাঁকে চিনতে ব্যর্থ। নিরাপত্তা রক্ষীরা সাংসদের পরিচয়পত্র দেখে তড়িঘড়ি মূল প্রবেশদ্বারের দরজা খুলে দিলেন। ভিতরেও দাড়িওয়ালা ছবি-সহ বার্তা গেল, সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে এখন চেনা যাচ্ছে না। তা বলে লোকসভায় ঢুকতে যেন কোনও অসুবিধা না হয়!

শত্রু-মিত্র

দোলের আগে সংসদ চত্বরে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ জয়রাম রমেশের। হোলির শুভেচ্ছা ও আকারে-ইঙ্গিতে কথা হল। বিজেপি ও কংগ্রেসের দুই নেতার মধ্যে বোঝাপড়া দেখে সবাই অবাক। নড্ডা জানালেন, তিনি যখন হিমাচল প্রদেশে বন-পরিবেশ মন্ত্রী, সে সময় জয়রাম রমেশ ছিলেন কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের বন-পরিবেশ মন্ত্রী। এক সঙ্গে অনেক কাজ, বৈঠক করেছেন। রমেশ হাসতে হাসতে বলেন, “আর আপনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আমি কোথাও কিছু নই।”

বিবাহ অভিযান

রাজনীতির জগতে বিয়ের মরসুম। বেঙ্গালুরুর তরুণ বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য গাঁটছড়া বাঁধলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী শিবশ্রী স্কন্দপ্রসাদের সঙ্গে। বেঙ্গালুরু প্যালেসের অনুষ্ঠানে ভিড় উপচে পড়ল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের ছোট ছেলে কুণালের বিয়ে হয়েছে গত মাসে, এ বার বড় ছেলে কার্তিকেয়রও বিয়ে হয়ে গেল। সেই বিয়েতে শিবরাজের সঙ্গে নাচে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এক সময় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ঘনিষ্ঠ, অণ্ণা হজারের আন্দোলনের অন্যতম মুখ কবি কুমার বিশ্বাসের মেয়ের বিয়েতে আবার গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পরিণয়: তেজস্বী সূর্য ও শিবশ্রী।

পরিণয়: তেজস্বী সূর্য ও শিবশ্রী।

দোলাচলে নেই

রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন। দলবদলের ঋতুও কড়া নাড়ছে। মঙ্গলবার নতুন সংসদের মকর দ্বারের বাইরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। শুভেচ্ছা জানাতে এগিয়ে যান বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। মজা করে বলেন, “এ বার দোলাদিকে বিজেপিতে টেনে নেব।” দোলার সহাস্য উত্তর, “এ জন্মে তা আর হবে না রে ভাই।”


Advertisement
আরও পড়ুন