Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: সুবর্ণ গোলক প্রাপ্তিতে খুশি বিজেপিও

এন টি রামারাওয়ের নাতিকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে চলচ্চিত্র তারকাদের গুরুত্বের কথা ভুললে চলবে না।

Advertisement
প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:০০
দিল্লি ডায়েরি।

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

আরআরআর ছবির ‘নাটু নাটু’ গান গোল্ডেন গ্লোব সম্মান পাওয়ায় বিজেপিও বেশ খুশি। ছবিতে এই গানের সঙ্গে তুমুল নেচেছেন দক্ষিণের দুই অভিনেতা এনটিআর জুনিয়র ও রামচরণ। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণের সুপারস্টার এনটিআর জুনিয়রের সঙ্গে কয়েক মাস আগে অমিত শাহ বৈঠক করেছিলেন। এন টি রামারাওয়ের নাতিকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। এনটিআর জুনিয়র আন্তর্জাতিক দুনিয়ার পরিচিতি পেয়ে যাওয়ায় বিজেপির আরও সুবিধাই হবে বলে ভাবছেন দলের নেতারা। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে চলচ্চিত্র তারকাদের গুরুত্বের কথা ভুললে চলবে না।

Advertisement
নায়ক: এনটিআর জুনিয়রের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

নায়ক: এনটিআর জুনিয়রের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

জানিস, আমি কে?

দেশের রাজধানী দিল্লির রাস্তায় ঝগড়া বাধলেই একটি চেনা কথা শোনা যায়। তা হল, জানিস আমি কে! এক জনের দূর সম্পর্কের কাকা কোনও মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হলে, অন্য জনের মামা কোনও মন্ত্রকের মেজোবাবু। রাস্তায় গাড়ি ঠোকাঠুকি থেকে পার্কিং, ঝগড়া লেগেই থাকে। তা নিয়ে পুলিশের মামলা হয়ে মকদ্দমা দিল্লি হাই কোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়ায়। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানীর বেঞ্চে সম্প্রতি এ রকমই এক মামলা হাজির। তা হল, মোবাইলের রিচার্জ করাতে গিয়ে দোকানদারের সঙ্গে গ্রাহকের ঝগড়া ও মারামারি। বিচারপতি ভাম্বানী একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ ও আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন তুললেন, এ কি দিল্লিতে মারামারির নতুন শাখা তৈরি হল! এত দিন পার্কিং নিয়ে মারামারিও হাই কোর্ট পৌঁছেছে। এ বার রিচার্জ নিয়ে মারামারিরও বিচার করতে হবে!

বিবাহ অভিযান

মোদী সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর কন্যার বিবাহের প্রস্তুতি নিয়ে এখন প্রবল আলোচনা চলছে ক্ষমতার করিডরে। এই বিয়ে নাকি উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের মেলবন্ধন হতে চলেছে! কী ভাবে? ওই ক্যাবিনেট মন্ত্রী দক্ষিণ ভারতীয়। তাঁর হবু জামাই উত্তর ভারতীয়, হিন্দিভাষী। এখানেই শেষ নয়। নর্থ ব্লকের সঙ্গে সাউথ ব্লকেরও মেলবন্ধন ঘটাবে এই বিয়ে। কারণ, মন্ত্রীর সঙ্গে নর্থ ব্লকের যোগাযোগ রয়েছে। আর তাঁর হবু জামাই সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের গুরুত্বপূর্ণ অফিসার। পাত্রীটি কে? পাত্রই বা কে? বিজেপি নেতারা বলছেন, এখনও বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র মেলেনি। তাই আপাতত এটুকুই থাক!

‘মামা’র কবিতাপ্রেম

ইন্দোরে তিন দিনের প্রবাসী ভারতীয় দিবসের যবনিকাপাতে কবিতায় ফিরলেন ‘মামা’। রাজ্যে ওই নামেই পরিচিত মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাঁর আবেগ প্রকাশ করতে চিরাচরিত গদ্যের বক্তৃতায় হাঁটলেন না। বরং কানায় কানায় ভর্তি প্রেক্ষাগৃহে চৌহান বললনে, মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় পিতার মনের অবস্থা ভর করেছে তাঁর নিজের উপর। কবি বশির বদরের লাইন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর আবৃত্তি, “সিঁতারো কো আঁখো মে মেহফুজ রাখনা/ বড়ি দের তক রাত হি রাত হোগি/ মুসাফির হ্যায় হাম মুসাফির হো তুম ভি / কিসি মোড় পে ফির মুলাকাত হোগি…।” অর্থাৎ, আগলে রেখো তোমার চোখে তারার আলো / অন্ধকার তো থাকবে রাত্রি দীর্ঘতর / পথিক তুমি, যাত্রী আমরা সবাই কি নই / মিলব সবাই আবার জানি চৌমোহনায়...। প্রেক্ষাগৃহে তখন প্রবাসীদের সাশ্রু করতালি।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শরদ পওয়ারকে বিরোধী জোটের প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের নেতারা নালিশ করেন, পওয়ার প্রথমে সম্মতি জানিয়েও শেষবেলায় সরে দাঁড়িয়ে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলেন। তাতে অবশ্য পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের মধুর সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে টুইট করে সুপ্রিয়া সুলে ‘দিদি’-কে শুভেচ্ছা জানান। পওয়ার, মমতার বৈঠকের পুরনো ছবি টুইট করলেন।

সম্প্রীতি: সুপ্রিয়া সুলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পওয়ার।

সম্প্রীতি: সুপ্রিয়া সুলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পওয়ার।

‘লোকে খাঁচাটাই কেনে’

মোড়কে মুগ্ধ মন্ত্রী! এক কর্তার বইয়ের মোড়ক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন পীযূষ গয়াল। বুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তৈরি পুস্তিকাগুলিকে মোড়কবন্দি করছিলেন মন্ত্রকের ওই কর্তা। গয়াল পরে সবাইকে ওই বইয়ের মোড়ক দেখিয়ে বলেন, সাদা এবং কালো দু’টি ফিতে সহকারে বিশেষ কায়দায় দ্রুত এমন ভাবে ওই বইগুলির মোড়ক দিয়েছেন তিনি যে, আর আঠা লাগানোর প্রয়োজনই হয়নি। এই কায়দা সবাইকে শেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন গয়াল!

আরও পড়ুন
Advertisement