Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: প্রথম প্রেমই সবচেয়ে ভাল, বললেন নাইডু

বয়সে চল্লিশ বছরের ছোট সাংসদকে ফের উপদেশের সুরে প্রবীণ নায়ডু বললেন, “প্রথম প্রেমটাই ভাল হয়। আর সেটাই সারা জীবন থেকে যাওয়া উচিত।”

Advertisement
প্রেমাংশু চৌধুরী ও অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২২ ০৫:১১
দিল্লি ডায়েরি।

দিল্লি ডায়েরি।

রাঘব চাড্ডা রাজ্যসভার নবীনতম সাংসদদের মধ্যে এক জন। মাত্র ৩৩ বছর বয়স। গত মে মাসেই সাংসদ হয়ে এসেছেন। চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে শপথ নিয়েছিলেন। শপথ নেওয়ার দিনেই বাবা-মায়ের সঙ্গে গুরুদ্বারায় মাথা ঠেকিয়ে সংসদে পৌঁছতে কিঞ্চিৎ দেরি হয়েছিল বলে নায়ডুর কাছে সময়ানুবর্তিতা নিয়ে কড়া উপদেশও শুনতে হয়েছিল। বাদল অধিবেশনে নায়ডুর বিদায় সংবর্ধনায় চাড্ডা সে কথাই মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, জীবনে প্রথম সব কিছুর কথা মনে থাকে। স্কুলের প্রথম দিন, প্রথম শিক্ষক, প্রথম প্রেম বা প্রথম রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। স্বভাবরসিক নায়ডু শুনে প্রশ্ন করলেন, প্রেমের ক্ষেত্রে আবার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয় কি! না কি একটাই হয়! চাড্ডা হাসি মুখে উত্তর দিলেন, “আমার এতটা অভিজ্ঞতা নেই। তবে ভালই হয়।” বয়সে চল্লিশ বছরের ছোট সাংসদকে ফের উপদেশের সুরে প্রবীণ নায়ডু বললেন, “প্রথম প্রেমটাই ভাল হয়। আর সেটাই সারা জীবন থেকে যাওয়া উচিত।”

Advertisement
তারুণ্য: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ক্যামেরাবন্দি রাঘব চাড্ডা।

তারুণ্য: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ক্যামেরাবন্দি রাঘব চাড্ডা।

হিন্দুরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ

খসড়া তৈরির কাজ প্রায় শেষ হিন্দুরাষ্ট্রের সংবিধানের। উদ্যোক্তা বারাণসীর শঙ্করাচার্য পরিষদ। দাবি, ২০২৩ সালের মাঘ মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজের ধর্ম সংসদে ঘোষণা হবে সেই সংবিধানের। যে সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে আগামী দিনে শিক্ষা হবে গুরুকুল পদ্ধতিতে, দেশ চলবে বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা মেনে, বিচারব্যবস্থা হবে ত্রেতা ও দ্বাপরের নিয়মে! যে সংবিধান অনুযায়ী বদলে যাবে রাজধানী। দিল্লির বদলে কাশী। আর অখণ্ড সেই ভারতে ভোটাধিকার থাকবে কেবল হিন্দুদেরই। তবে এমন কোনও সংবিধান বা উদ্যোগের কথা দলের জানা নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন— এক সময়ে এ ভাবেই গুটিকয়েক সাধু-সন্তের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল রাম জন্মভূমি আন্দোলন। পরবর্তী কালে তার ভবিষ্যৎ কী হয়েছিল, তা সকলেরই জানা।

নতুন ভূমিকায় রবার্ট?

জন্মাষ্টমীর দিন দিল্লির সরিতা বিহারের আলি গাঁও মাঠে বিশাল কুস্তি প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। হিন্দিকে যাকে বলে ‘দঙ্গল’। প্রথম পুরস্কার ৫১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার ৩১ হাজার টাকা। তৃতীয় পুরস্কার ২১ হাজার টাকা। আয়োজনে বিজয় পাল পালোয়ান ও সোনু গুজ্জর পালোয়ান। দারা সিংহের ছেলে বিন্দু দারা সিংহ কুস্তি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। দেখা গেল, পালোয়ানির প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছেন রবার্ট বঢরা। গান্ধী পরিবারের জামাই, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী। রবার্ট নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। সাইক্লিং থেকে গল্‌ফ, অনেক কিছুতেই তাঁর উৎসাহ। কিন্তু কুস্তি? রবার্ট জানালেন, খেলাধুলায় উৎসাহ দিতে তিনি যে কোনও জায়গায় যেতে রাজি। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, অর্থনীতিতে মন্দা, স্বাস্থ্যের চিন্তার মধ্যে দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রাণশক্তিকে কাজে লাগাতে হলে, তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হলে, খেলাধুলাই একমাত্র উত্তর। অনেক দিন ধরেই রাজনীতিতে নামতে ইচ্ছুক রবার্ট কি এ বার ক্রীড়া প্রশাসনে ঢুকতে চাইছেন? রবার্ট অবশ্য তা মানতে নারাজ।

নন্দলাল বসুর সম্মান

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দিল্লির বুকে এক টুকরো শান্তিনিকেতন উঠে এল। ‘হস্তান্তরণ: ইন ট্রান্সমিশন’ নামে নন্দলাল বসুর চিত্রকলার রেট্রোস্পেকটিভের আয়োজন করল দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন এই গ্যালারির কর্তারা জানালেন, নন্দলাল বসু সাংস্কৃতিক নবজাগরণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা মহাত্মা গান্ধীর ভাবনার সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। গান্ধীর লবণ সত্যাগ্রহ তাঁর হাতে অমরত্ব পেয়েছিল। হরিপুরা কংগ্রেস অধিবেশনের সময় নন্দলাল বসুর তৈরি পোস্টারও প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে। রাখা হয়েছে ভারতের সংবিধানে নন্দলাল বসুর ইলাস্ট্রেশন। তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নন্দলালের ভূমিকারই স্বীকৃতি।

প্রদর্শনী: নন্দলাল বসুর আঁকা ছবি

প্রদর্শনী: নন্দলাল বসুর আঁকা ছবি

সামোসার বদলে

কংগ্রেসের সদর দফতরে জনসংযোগ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার ঘরে ভিড় লেগেই থাকে। সাংবাদিক থেকে দলের মুখপাত্র, প্রচার, জনসংযোগ বিভাগের নেতা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মীরাও কাজেকর্মে আসেন। চা, কফি আর কংগ্রেসের ক্যান্টিনের সামোসা আসতেই থাকে। কিন্তু এই দফতরের দায়িত্বে জয়রাম রমেশ আসার পরেই সামোসা কার্যত নিষিদ্ধ। রমেশ মনে করেন, সামোসা ‘ওয়েপন অব মাস ডেস্ট্রাকশন’। শরীরের ক্ষতি করে। স্যালাড নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারতে অভ্যস্ত জয়রাম তাই সামোসার বদলে ভেজ স্যান্ডউইচ দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন সারছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement