Book Review

বারো ঘর এক উঠোন

শুধু টাইপোগ্রাফি নিয়েই এই পত্রিকা। প্রথম সংখ্যাটি সাড়া ফেলেছিল, দ্বিতীয় সংখ্যাতেও স্পষ্ট ‘হরফচর্চার সর্বভারতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ তুলে ধরার প্রয়াস।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মার্ক্সের দর্শনে এথিক্স-এর স্থানাঙ্ক কী, এই বহুবিতর্কিত প্রশ্নটিকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন শোভনলাল দত্তগুপ্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাব্য পথ নিয়ে আলোচনা করেছেন মৈত্রীশ ঘটক। পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের ইতিহাস ও ধনতন্ত্রে পরিশ্রমের ইতিহাসের মধ্যে সম্পর্ক আছে কি না, সন্ধান করেছেন দীপেশ চক্রবর্তী। প্যালেস্টাইনের কবি নজোয়ান দরবিশের কবিতা অনুবাদ করেছেন নীলাঞ্জন হাজরা। শতবর্ষে মৃণাল সেন ও রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য স্মরণ বিষয়ক ক্রোড়পত্র দু’টি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

অনুষ্টুপ শারদীয় ২০২৩সম্পা: অনিল আচার্য

৬৫০.০০

ডুয়ার্স থেকে বীরভূম, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শতাব্দী-অতিক্রান্ত স্কুলের হদিস এই সংখ্যায়। স্থানীয় বিদ্যানুরাগী জমিদার বা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গ, ঔপনিবেশিক শাসনের শিক্ষাপ্রসারের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি এবং প্রাদেশিক কেন্দ্রে বিদ্যাচর্চার গতি কী ভাবে নির্ধারণ করেছিল নিকট এবং দূরবর্তী অঞ্চলের বিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াকে, তা একই সঙ্গে কৌতূহলোদ্দীপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। নিজেদের বিদ্যালয়-জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন পবিত্র সরকার সৌরীন ভট্টাচার্য অনিতা অগ্নিহোত্রী স্বপ্নময় চক্রবর্তী প্রমুখ।

কোরক শারদ সংখ্যা ২০২৩: শতাব্দীপ্রাচীন বিদ্যালয়সম্পা: তাপস ভৌমিক

২৫০.০০

“অন্তর্মুখী রবীন্দ্রনাথ যে দু-চারজন বন্ধুকে নিজের মনের কথা অকপটে বলতে পারতেন, জগদীশচন্দ্র তাঁদের মধ্যে অন্যতম।” বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুকে লেখা চিঠিগুলিতে রবীন্দ্রনাথ লেখেন শিলাইদহে সন্তানদের গৃহশিক্ষক লরেন্সের পাগলামি, রেশম চাষের ব্যবসা, মৃত্যুপথযাত্রী বেলার কথা, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও।

আবহমান, অক্টোবর ২০২৩

সম্পা: হিন্দোল ভট্টাচার্য, সন্দীপন চক্রবর্তী, বেবী সাউ, মণিশংকর বিশ্বাস, শমীক ঘোষ

৫০০.০০

পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকারের প্রবন্ধে এমন নানা ছবি। কলম ধরেছেন জয় গোস্বামী সন্মাত্রানন্দ গৌতম চৌধুরী জয়ন্ত ভট্টাচার্য অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিজিৎ তরফদার প্রমুখ। প্রবন্ধ অনুবাদ উপন্যাস গল্প কবিতায় আকর্ষণীয় মনন-সম্ভার।

কলকাতা ২১, আশ্বিন ১৪৩০

সম্পা: মৈনাক বিশ্বাস, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, বোধিসত্ত্ব কর

৩৫০.০০

কলকাতা ২১ পত্রিকার তৃতীয় সংখ্যা সম্পর্কেও স্বচ্ছন্দে বলা চলে, চমৎকার। প্রবন্ধগুলি প্রাঞ্জল ও গভীর, নানা আইডিয়া নিয়ে খেলা করার মজাটা পাতা থেকে চারিয়ে যায় মনে। সুকান্ত চৌধুরী অরিন্দম চক্রবর্তী গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের পাশাপাশি মন দখল করে নেন পিনাকী দে সুকন্যা সর্বাধিকারী। সত্যজিৎ রায়ের ডিজ়াইন নিয়ে পিনাকীর প্রবন্ধটি সহজ কিন্তু ওজনদার।

হরফচর্চা ২, নভেম্বর ২০২৩

সম্পা: সুস্নাত চৌধুরী

৬৫.০০

সুকন্যার ‘অব্যক্ত লহরী’ প্রবন্ধের মূল তর্ক, “অনাহত অশব্দ আর আহত শব্দের মধ্যে সেতু হল সংখ্যা।” কী সেই সংখ্যা? সাড়ে তিন। বিতর্ক প্রার্থনীয়। বিষয়-বিভাজনের পরিচিত গণ্ডি ছাপিয়ে ভাবনার জগতে স্বচ্ছন্দ বিচরণ নইলে লিটল ম্যাগাজ়িন?

পরিচয় শারদ ১৪৩০

সম্পা: অভ্র ঘোষ

২০০.০০

শুধু টাইপোগ্রাফি নিয়েই এই পত্রিকা। প্রথম সংখ্যাটি সাড়া ফেলেছিল, দ্বিতীয় সংখ্যাতেও স্পষ্ট ‘হরফচর্চার সর্বভারতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ তুলে ধরার প্রয়াস। ‘গুগল ফন্টস’-এর নতুন ছাঁদের হরফ ‘আলকাতরা’-র নির্মাণভাবনা ও পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন সুমন ভাণ্ডারী। মার্কিন হরফ-বিশেষজ্ঞ বিয়াট্রিস ওয়ার্ড-এর ১৯৫৫-তে প্রকাশিত বই দ্য ক্রিস্টাল গবলেট-এর প্রথম রচনাটি রয়েছে বঙ্গানুবাদে; বিশ শতকের মধ্যভাগে বাংলা বর্ণমালার সংস্কারপন্থী সুধীরকুমার চৌধুরীর একটি লেখার পুনর্মুদ্রণ, ‘টাইপো ডে’ সম্মেলন নিয়ে মৃণাল বিশ্বাসের তথ্যঋদ্ধ লেখা।

নিষ্পলক, দলিতের ভারত নির্মাণ

সম্পা: জগদীশচন্দ্র সরদার

২৫০.০০

‘আমি যদি অন্য কেউ হতাম’, এই প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করে প্রবন্ধ রচনা করেছেন অরিন্দম চক্রবর্তী, তবে লেখাটি পদ্যে গাঁথা। মৃণাল সেনের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রন্থিত করেছেন সোমেশ্বর ভৌমিক। পরিচিতির রাজনীতির অন্তঃচরিত্র সন্ধান করেছেন কুমার রাণা। রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় দেশানুরাগ ও সত্যানুরাগ নিয়ে লিখেছেন বিশ্বজিৎ রায়। কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের আলোচনায় বিনয় মজুমদারের কবিতা। সিটি কলেজে তাঁর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক সুশীলকুমার সেনের কথা লিখেছেন সৌরীন ভট্টাচার্য। মরাঠি কবি দিলীপ চিত্রের কবিতা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন অমিয় দেব।

পান্থজন, ঠাকুরবাড়ির চিত্রমহল

সম্পা: গৌর খাঁড়া

২০০.০০

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আম্বেডকরের ডক্টরাল থিসিসের উপস্থাপনা প্রসঙ্গে মনোহর মৌলি বিশ্বাসের প্রবন্ধের সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে প্রবীণ থাল্লা পেল্লির আম্বেডকরকে নিয়ে লেখাটি। ভারতীয় সমাজে দুস্থিতির অন্যতম উৎস যে বর্ণব্যবস্থা এবং সেখানে আম্বেডকর আজও কেমন ‘অস্পৃশ্য’, তা নিয়ে সম্যক ধারণা পাবেন পাঠক।

বৈশাখী, স্মরণ: তরুণ মজুমদার

সম্পা: ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডল

৩৫০.০০

শিক্ষাব্যবস্থায় প্রান্তজনের উপেক্ষা ও শিক্ষা-আন্দোলনে জ্যোতিরাও ও সাবিত্রীবাই ফুলের অবদান, বাঙালি দলিত নারীর শিক্ষাচিন্তা, যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ ও কর্মকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ রচনার সমাহার।

চারুপাঠ, প্রাচীন বাংলা সংখ্যাসম্পা: জয়দেব দাস

৫০০.০০

“ঠাকুরবাড়ির চিত্রশিল্পীরা চিত্রকলা শিখেছেন ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে, কিন্তু তার অনুকরণ করেননি,” বরং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে তার বিকাশ ঘটিয়েছেন, বক্তব্য সম্পাদকের।

পরম্পরা, উৎসব ১৪৩০

সম্পা: গৌতম দাশ

৪০০.০০

এই সুর ধরেই পত্রিকার মূল ক্রোড়পত্রটি: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ গগনেন্দ্রনাথ অবনীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ রথীন্দ্রনাথ, সুনয়নী দেবী প্রতিমা দেবী-সহ ঠাকুরবাড়ির মহিলামহলের চিত্রচর্চা, অসিতকুমার হালদার যামিনীপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়কে ফিরে দেখা নানা নিবন্ধে, বিশেষ আকর্ষণ সুন্দর ছাপা ছবিগুলি। এ ছাড়াও আছে আরও কিছু প্রবন্ধ গুচ্ছকবিতা ও গল্প।

সমকালের জিয়নকাঠি, লোকসংস্কৃতি ভুবন ১সম্পা: নাজিবুল ইসলাম মণ্ডল

৬০০.০০

২০০৬-এ তরুণ মজুমদারকে নিয়ে পত্রিকা সংখ্যার প্রস্তুতিপর্বে সম্পাদকের পরিচয় পরিচালকের সঙ্গে, সেই ‘স্মৃতি’ই হয়ে উঠেছে সম্পাদকীয়। শুরুতেই কানন দেবী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও রাজেন তরফদারকে নিয়ে তরুণবাবুর নিজের লেখা মুদ্রিত। পুরনো ও নতুন একগুচ্ছ লেখায় বাঙালির প্রিয় এই পরিচালকের মূল্যায়ন, সহকারী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চোখে তিনি, নির্মল ধরের নেওয়া পরিচালকের সাক্ষাৎকার। তরুণ মজুমদারের চলচ্চিত্রপঞ্জি ও রেকর্ড-সিডি-ডিভিডি তালিকা, আলোর পিপাসা ও বালিকা বধূ-র চিত্রনাট্য কাজে দেবে গবেষকদের।

এবং মুশায়েরা, ক্রোড়পত্র: পুষ্কর দাশগুপ্ত জ্যোৎস্নাময় ঘোষসম্পা: সুবল সামন্ত

৭০০.০০

সাহিত্যের অঙ্গনে যে অবাধ প্রসার নিশ্চিত করলে উৎসব সংখ্যা সার্থকতা পেতে পারে, হাজির তার সবই: প্রবন্ধ কবিতা গল্প নাটক ভ্রমণ স্মৃতিকথা, ধারাবাহিক অণুগল্প ডায়েরিও! স্মরণ করা হয়েছে সন্দীপ দত্তকে, পলাশ বরন পাল তপোব্রত ঘোষ আশীষ লাহিড়ী শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনের প্রবন্ধে উন্মোচিত নানা প্রসঙ্গকথা। বাংলাদেশের চলনবিল নিয়ে মৃদুল দাশগুপ্ত, বেতারের নির্বাচিত সমীক্ষামালা ভবেশ দাশের লেখায়। এই সময়ের নবীন-প্রবীণ কলমে কবিতা ও গল্পগুলি বড় প্রাপ্তি।

মুদ্রা ১৪৩০ সেইসব সাহেবরা

সম্পা: শৈবাল সরকার

৭০০.০০

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় আলাদা গুরুত্ব পাওয়ার বহু আগেই মেয়েদের চরকায় সুতো কাটার রেওয়াজ ছিল বাংলায়। আজও নানা আচারে কুমারীর হাতে কাটা সুতোর ব্যবহার সেই ঐতিহ্যকে মনে করায়। প্রাচীন বাংলার জনজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে একগুচ্ছ লেখার সঙ্কলন, বাংলার নানা জনপদের ইতিহাস, ধর্ম ও দেবদেবী, রাজনীতি গণবিদ্রোহ ও যুদ্ধকৌশল, ভাষা ও শিক্ষা, অর্থনীতি ও পরিবহণ ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থাপত্যরীতি পোশাক গয়না থেকে মৃতদেহ সৎকারের মতো স্বল্পালোচিত বিষয়ও।

ধূসর শহর, ক্রোড়পত্র স্যামুয়েল বেকেট সম্পা: দেবাশিস চক্রবর্তী

৩০০.০০

লোকসংস্কৃতির বিশ্বের চর্চাকে সম্পাদক দেখছেন ‘এক বৃহৎ সংকল্পের গবেষণার সূচনা কার্যক্রম’ রূপে, তারই প্রমাণ এই সংখ্যা, ছ’টি বিষয়ভাবনার মোট ৪২টি প্রবন্ধ-নিবন্ধের সঙ্কলন। লোকসংস্কৃতি-বিজ্ঞানের তথ্যগত পর্যালোচনা, লোককথায় প্রাণী ও বাস্তুবিদ্যা, লোকচিকিৎসা, খাদ্যাভ্যাস ও সঙ্গীত; মেলা, লোকবিশ্বাস ও লোকদেবতা; সাহিত্যে লোকায়ত ভাবনা, লোকভাষা পুথি প্রবাদপ্রবচন কিংবদন্তি-সহ বিরাট এক পরিসর ছুঁয়েছে লেখাগুলি। আছে বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার, প্রাসঙ্গিক পুস্তক-পর্যালোচনাও, গবেষক ও আগ্রহী পাঠক উভয়েরই কাজে দেবে।

পড়শি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা সংখ্যাসম্পা: মৃদুল হক, সঞ্চিতা দত্ত

৬০০.০০

কবি গদ্যকার অনুবাদক ফরাসি-ভাষাবিদ, পরিচয়ের এই ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে পুষ্কর দাশগুপ্তের মনের খোঁজ রাখতেন যাঁরা, জানতেন বাংলা ভাষা ও বাঙালি সমাজ নিয়ে তাঁর ভালবাসা ও উদ্বেগ। এ বছর প্রয়াত এই সারস্বতকে ব্যক্তিগত নৈর্ব্যক্তিক দুই আঙ্গিকেই ফিরে দেখেছে ক্রোড়পত্রের ছোট-বড় লেখাগুলি। রয়েছে তাঁর লেখা মৌলিক ও অনুবাদ-কবিতা, প্রবন্ধ ‘ভারতীয়ত্বের খোঁজ’, গ্রন্থপঞ্জি, গ্রন্থপ্রচ্ছদও। গল্পকার ঔপন্যাসিক নাট্যকার জ্যোৎস্নাময় ঘোষের জীবন ও কৃতি ফিরে দেখেছে অন্য ক্রোড়পত্রটি। এ ছাড়াও একগুচ্ছ নিবন্ধ গল্প কবিতা অনুবাদকাজ।

ঔপনিবেশিক শক্তির ধারক-বাহকেরা নন। বিশ্বমানব, জ্ঞানপিপাসু যে বিদেশিরা ভারতে এসেছেন বা ভারতের হিতে কাজ করেছেন, তাঁদের নিয়েই পত্রিকার এই বৃহৎ সংখ্যাটি। শিরোনামে ‘সাহেব’ থাকলেও তাঁরা কেবল ইংরেজ নন, বাকি থাকেনি বিদেশিনিদের অবদানও। অঁকেতিল দ্যু পেরঁ, জেমস হিকি, উইলিয়াম জোন্স, লিয়েবেদেফ, হ্যালহেড, উইলিয়াম কেরি, ডেভিড হেয়ার, জেমস প্রিন্সেপ, বেথুন, ম্যাক্সমুলার, জেমস লং, অ্যানি বেসান্ত, নিবেদিতা, জিম করবেট, ফাদার দ্যতিয়েন, ডেভিড ম্যাককাচ্চন-সহ ভারতবন্ধু আরও অনেকের জীবনকৃতির নবমূল্যায়ন।

পূর্ব পশ্চিম, বার্ষিক নাট্যপত্র ২০২৩

অতিথি সম্পা: অসীম সামন্ত

২০০.০০

নাট্যকার পরিচয়ে বিশ্বখ্যাত স্যামুয়েল বেকেট-এর স্মরণে বিশেষ ক্রোড়পত্র এই সংখ্যার চুম্বক। বাংলা অনুবাদে পাঠক পড়তে পারবেন বেকেটের কবিতা, চিঠি, নাটক, স্মৃতিকথা, গল্প, জেমস জয়েস প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারও। দু’-একটি অনুবাদ ছাড়া বাকিগুলির প্রয়োজনীয় সূত্র, উৎসনির্দেশ বা টীকা নেই, সেগুলির বিশেষ প্রয়োজন ছিল। ‘বিবিধ’ অংশে সালভাদর দালি, জে এম কোয়েটজ়ি, হুলিয়ো কোর্তাসার থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেলজয়ী ইউন ফ্যসে-র সাক্ষাৎকারের অনুবাদ সাহিত্য ও শিল্পের জরুরি কিছু প্রশ্ন তুলে ধরে। দুই পর্বে কবিতাগুচ্ছও বিশেষ আকর্ষণ।

যদিও পুনর্মুদ্রণ তবুও বিজন ভট্টাচার্য ঋত্বিক ঘটক অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অসীম চক্রবর্তী দীপক মজুমদারের অচেনা অনন্য নাট্যাদি। তাপস সেনের জন্মশতবর্ষে এ প্রজন্মের আলোকশিল্পী সুদীপ সান্যাল লিখেছেন “আমরা ওঁর আলোক পরিকল্পনার দর্শনকে গ্রহণ করতে পারিনি।” আর সবিতাব্রত দত্ত জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় তরুণ রায় জোছন দস্তিদার শ্যামল ঘোষ সম্পর্কে লিখেছেন সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত দেবাশিস রায়চৌধুরী ঈশিতা মুখোপাধ্যায় সৌমিত্র বসু সৌমিত্র দস্তিদার অশোক মুখোপাধ্যায়। প্রত্যেকের বিস্তৃত জীবনপঞ্জি নির্মাণ দেবাশিস রায়ের। গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বই শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকাশের নক্ষত্রমালা ও ব্রাত্য বসুর বি বি: বারটোল্ট ব্রেশটের জীবন, সময়, শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা।

স্যাস, নাট্যবিষয়ক বার্ষিকী ২০২৩সম্পা: সত্য ভাদুড়ি

৩০০.০০

“শিল্পীর কোনোদিন অভাব হয় না। আর শিল্পী কোনোদিন দুঃস্থ হয় না।” তাঁকে দুঃস্থ শিল্পী হিসেবে সরকারি অনুদানের জন্যে আবেদন করতে বলায় বলেছিলেন মায়া ঘোষ। তাঁর অভিনয়জীবন নিয়ে লেখা সূত্রে সুরঞ্জনা দাশগুপ্তের মত, “এমন সোজা শিরদাঁড়ার মানুষ আজকের সময়ে বিরল।” সাক্ষাৎকারে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি স্টেজেরই আর্টিস্ট।” লোরকার ১২৫ উপলক্ষে প্রবন্ধ, বাংলার সাধারণ রঙ্গালয়ের দেড়শো পূর্তিতে তার পতন নিয়ে নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ। সঙ্গে মৌলিক ও অনুবাদ নাটক।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কত কথা, কিন্তু গণহত্যা নিয়ে? সত্তরের দশকে যে লেখালিখি ছিল এই বাংলায়, এখন কোথায় তেমন চর্চা? এই প্রশ্ন সূত্রে জরুরি কিছু কথা। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষ শহীদুল্লা কায়সার থেকে তারিক সুজাতের কবিতায়, তাজউদ্দীন আহমদ তপতী বসু মিহির মৈত্রের স্মৃতিকথায় জীবন্ত গণহত্যার ভয়ঙ্কর দিনগুলি। জয়ন্ত কুমার রায় রেজাউল করীমের পুনর্মুদ্রিত প্রবন্ধ, এই সময়ের লেখকদের নিবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস-এষণা, ছোটগল্পেও। মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর ও কবীর সুমনের সাক্ষাৎকারগুলি বুঝিয়ে দেয়, কেন এই ইতিহাস স্মরণ জরুরি।

আরও পড়ুন
Advertisement