জ়োম্যাটোর সিইও দীপেন্দ্র গয়াল। ছবি: সংগৃহীত।
সংস্থার জন্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ চেয়ে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছে জ়োম্যাটো। আর তা নিয়ে হইচই সমাজমাধ্যমে। বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কের মুখেও প়ড়েছে অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটি। কী ছিল সেই বিজ্ঞাপনে? বুধবার এক্স হ্যান্ডলে সংস্থার জন্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ চেয়ে একটি পোস্ট করেন জ়োম্যাটোর সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপেন্দ্র গয়াল। সেই বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, সংস্থার জন্য এক জন যোগ্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ খুঁজছেন তাঁরা। তবে চাকরি করলেও প্রথম বছর বেতন হিসাবে এক টাকাও পাবেন না সেই কর্মী। উল্টে পকেট থেকে দান হিসাবে জ়োম্যাটোর দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে জ়োম্যাটোও কিপটেমি করবে না। ওই কর্মীর কোনও পছন্দসই দাতব্য প্রতিষ্ঠানে সংস্থার তরফে ৫০ লক্ষ টাকা দান করা হবে, যা এক জন ‘চিফ অফ স্টাফ’-এর এক বছরের বেতনের সমান। দ্বিতীয় বছরের শুরু থেকে ওই কর্মীকে বেতন দেওয়া শুরু করবে জ়োম্যাটো। তবে বেতনের সেই অঙ্ক অবশ্যই ৫০ লক্ষের বেশি হবে। দীপেন্দ্রের দেওয়া সেই পোস্ট থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
যদিও কেন এই ভাবে চাকরির বদলে টাকা দান করার কথা বলছেন, সে কথা নিজের পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন দীপেন্দ্র। বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি যে, যাঁরা এই চাকরির জন্য আবেদন করবেন, ভাল বেতনের চাকরির জন্য নয়, কাজ শেখার সুযোগের জন্য তাঁদের আবেদন করা উচিত।’’ তিনি যোগ করেছেন যে আদর্শ প্রার্থীর খুব বেশি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই খুব ভাল যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে এবং ‘মাটির মানুষ’ হতে হবে।
যদিও দীপেন্দ্রের সেই যুক্তি ধোপে টিকছে না অনেকের কাছেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়েছে। অনেকেই দাবি তুলেছেন, জ়োম্যাটো যে ভাবে চাকরির বিনিময়ে টাকা তুলছে তা শ্রম আইন ভাঙার শামিল। প্রশ্ন উঠছে, কত জনের পকেটের এত জোর যে তাঁরা চাকরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা দান করতে পারবেন? তবে নেটাগরিকদের একাংশের মতে, নিছকই প্রচারের আলোয় আসার জন্য এবং নিজেদের ‘মহৎ’ প্রমাণ করতেই এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার তরফে।