WhatsApp

WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে ঘন ঘন ‘সিকিউরিটি কোড’ বদলে যায় কী কারণে, কতটা নিরাপদ এই পদ্ধতি

হোয়াটসঅ্যাপ বলে, প্রতিটি মেসেজ বা কল ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড’। অর্থাৎ গ্রাহকের যাবতীয় বার্তালাপের গোপনীয়তা নিশ্চিত।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট খুলে কি মাঝে মাঝেই দেখতে পান যে অন্য কোনও গ্রাহকের সঙ্গে আপনার ‘সিকিউরিটি কোড’ বদলে গিয়েছে? কিন্তু কেন এমন হয় তা কি জানা আছে? গ্রুপের মধ্যেও দেখা যায় কোনও এক জনের সঙ্গে বদলে গিয়েছে ‘সিকিউরিটি কোড’। চ্যাটের মধ্যেই লেখা থাকে ‘ইয়োর সিকিউরিটি কোড উইথ (নাম) চেঞ্জড। ট্যাপ টু লার্ন মোর।’

কেন এমন হয়, তা জানা থাকা দরকার। হোয়াটসঅ্যাপ বলে থাকে প্রতিটি মেসেজ বা অন্য কিছু যা এই অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে তা ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড’। অর্থাৎ যাবতীয় কিছুর গোপনীয়তা নিশ্চিত। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ দা‌বি করেন, কোনও গ্রাহক এবং অন্য এক জন ব্যক্তির মধ্যে হওয়া ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড’ চ্যাটের নিজস্ব নিরাপত্তার কোড থাকে, যা দিয়ে সেই চ্যাটে গ্রাহকের করা কল এবং পাঠানো মেসেজ ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড’ আছে কি না, তা যাচাই করা হয়। এটি একটি ‘কিউআর কোড’ এবং ৬০-ডিজিটের নম্বর হিসেবে আপনার পরিচিতির তথ্য স্ক্রিনে পাওয়া যাবে। এই কোডগুলি প্রত্যেকটি চ্যাটের জন্য আলাদা এবং এটি প্রত্যেকটি চ্যাটের ব্যক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে যাচাই করা যায় যে চ্যাটে পাঠানো গ্রাহকের মেসেজটি ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড’ আছে কি না। এটা বলা যেতে পারে যে, নিরাপত্তা কোড হল দু‍’জনের মধ্যে শেয়ার করা বিশেষ ‘কি’ বা ‘চাবি’ যার একটি দৃশ্যমান ভার্সন আছে। তবে এটা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই যে এটি আসল ‘কি’। তা আদৌ নয়। হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য, আসল ‘কি’ সব সময়ে গোপন রাখা হয়।

Advertisement

কিন্তু মাঝে মধ্যেই, ‘এন্ড-টু-এন্ড’ এনক্রিপশনের জন্য ব্যবহার করা নিরাপত্তা কোড পরিবর্তিত হয় কেন? এর কারণ হচ্ছে, ব্যবহারকারী অথবা তার যে পরিচিতর নিরাপত্তা কোড বদলে গিয়েছে, তাঁদের কেউ একজন অ্যাপটি নতুন করে ইনস্টল করেছেন অথবা ফোন পরিবর্তন করেছেন। আবার কেউ অন্য কোনও কম্পিউটারে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ব্যবহার করলেও কোড বদলে যায়। পরিচিতির নিরাপত্তা কোড সঠিক কি না সেটাও কোনও গ্রাহক চাইলে সব সময় যাচাই করে নিতে পারেন।
সেটা করতে হলে যে কোনও একজনের চ্যাট খুলুন। তাঁর নাম লেখা জায়গায় আঙুল ছোঁয়ান। এর পরে ‘এনক্রিপশন’ লেখা দেখতে পাবেন। সেখানেই রয়েছে ‘কিউআর কোড’ এবং ৬০ অঙ্কের সংখ্যা। ওই কোডে পরিচিতর ফোন থেকে স্ক্যান করলেই বুঝতে পারবেন আপনাদের মধ্যে হওয়া বার্তালাপ ‘এনক্রিপ্টেড’ রয়েছে। ওই পরিচিতের ফোনে নিজের নামের সঙ্গে দেওয়া ৬০ অঙ্কের সংখ্যাটা মিলিয়ে দেখতে পারেন। দুই ফোনেই এক নম্বর দেখালে বুঝতে হবে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রয়েছে।

যদি ‘কোড’ এক না হয়, তা হলে এমনটা হতে পারে যে, গ্রাহক অন্য কোনও পরিচিতের ‘কোড’ বা অন্য কোনও ফোন নম্বর স্ক্যান করছেন। যদি গ্রাহকের‌ পরিচিত সম্প্রতি ‌হোয়াটসঅ্যাপ নতুন করে ইনস্টল করে থাকেন, ফোন পরিবর্তন করে থাকেন অথবা পেয়ার করা ডিভাইস যোগ করে থাকেন বা সরিয়ে দিয়ে থাকেন, তা হলে গ্রাহককে কোডটি রিফ্রেশ করতে হবে এবং তার জন্য পরিচিতিকে নতুন মেসেজ পাঠিয়ে কোডটি স্ক্যান করতে হবে।

বারবার ‘সিকিউরিটি কোড’ বদলের মেসেজ না পেতে চাইলে গ্রাহক তা বদলাতেও পারেন। চালু করা বা বন্ধ করার পদ্ধতি একই। হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ডান দিকের উপের ত্রি-বিন্দু অর্থাৎ মেনুতে যেতে হবে। সেখানে সেটিংস এ ট্যাপ করে অ্যাকাউন্টে যেতে হবে। সেখান থেকে সিকিউরিটি ট্যাপ করলেও পাওয়া যাবে ওই পরিষেবা চালু বা বন্ধ করার সুযোগ।

Advertisement
আরও পড়ুন